নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজ ও পরিবেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তাই তাঁর জন্মদিনের উদযাপনও অন্য সবার থেকে আলাদা । পাশ্চাত্য রীতির অনুকরণে কেক কেটে মোমবাতি নিভিয়ে নয় বরং জীবন দীপ জ্বালানোয় বিশ্বাসী দুর্গাপুরের সাংবাদিক জয়দেব লাহা। তাই নিজের জীবনের বিশেষ দিনটি রক্তদান করেই পালন করলেন জয়দেবাবু। প্রতিবছরের মতো এবছরও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যঙ্কে রক্তদানের মাধ্যমে নিজের জন্মদিন পালন করলেন জয়দেবাবু। তবে শুধু নিজের জন্মদিনেই নয় সারা বছর ধরেই নিজের সাধ্য মতো নানান সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন দুর্গাপুরের এই সাংবাদিক। বস্তির অসহায় দুঃস্থদের পড়াশোনায় ব্রতি হওয়া ‘পাঠশালা পরিবার’ নামে এক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক তিনি। এছাড়াও পরিবেশের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে প্রতিবছর অরণ্য সপ্তাহে বৃক্ষরোপন করে সবুজ বাঁচানোর নিরন্তর আন্দোলনেও সামিল হয়েছেন তিনি।
যেখানে তিনি সবুজ বাঁচাতে গাছেদের রাখি পরানোর পাশাপাশি দুস্থ পরিবারের মধ্যে মূল্যবান গাছের চারা বিতরণ করে থাকেন। এমনকি তাঁর লেখনিতেও বার বার উঠে আসে সবুজ অরণ্যের প্রতি, প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি নির্মম অত্যাচারের কথা। পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষার জন্য লড়াই চালানোর পাশাপাশি দুর্গা পুজোর সময় অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সাধ্য মতো বস্ত্র বিতরন কিংবা কনকনে ঠাণ্ডায় শীত বস্ত্র ও কম্বল নিয়ে দুস্থদের কাছে বার বার ছুটে যাওয়া, এমন নানান সেবামূলক কাজের সঙ্গে নিয়মিত যুক্ত থাকেন তিনি । তিনি আবার দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের অন্যতম পৃষ্টপোষক। কোভিড পরিস্থিতিতে রক্ত সঙ্কট মেটাতে করেছেন নিয়ম মেনে রক্তদান শিবির ।
জয়দেব বাবু জানান,” জ্বলন্ত মোমাবাতি নেভানো, মানে জীবনের আলো নেভানো। তাই আলো না নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হয়। জন্মদিনে কেক না কেটে, মা’য়ের হাতে পায়েস খাওয়া দরকার। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। মোমবাতি নেভানো মন থেকে মানতে পারনি। তাই, মানুষের সেবায় রক্তদানের মাধ্যমে জন্মদিনটা পালন করলাম। “
বিগত কয়েক বছর ধরেই রক্তদানের মাধ্যমে নিজের জন্মদিন পালন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অন্যদিকে তাঁর এই মহতী উদ্যোগের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা, স্নেহ, ভালোবাসা, আশীর্বাদে ভরিয়ে দেন পরিচিত, আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মীরা। সকলের শুভেচ্ছা অভিনন্দন ভালোবাসায় আপ্লুত জয়দেববাবু জানান, সকলের এই ভালোবাসা ও আশীর্বাদকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনেও এই ভাবেই মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেত যেতে চান তিনি।