নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লুমিং অ্যান্ড বিলেট মিলে এদিন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন এক ঠিকা শ্রমিক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লুমিং অ্যান্ড বিলেট মিল বহুদিন ধরেই বন্ধ হয়ে রয়েছে। সেই প্ল্যান্টের ভেতরেই কিছু জরুরি কাজের জন্য এদিন “মন্ডল কন্সট্রাকশন” নামক এক ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা ওই জায়গায় কাজ করছিলেন। তাঁদের কাজের সুবিধার জন্য “কনস্ট্রাকশন কানেকশন” এ বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই কানেকশনের বিদ্যুৎ সংযোগে কিছু অসুবিধা হওয়ার ফলে অন্য একটি বৈদ্যুতিক তারের দ্বারা বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়ে ‘কন্ট্রোল ফিউজ সুইচ’ এ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় সেখানে কাজ করছিলেন এক ২০ বছর বয়সী ঠিকা শ্রমিক বিভূতি বিশ্বাস। সূত্র মারফত জানা গেছে তার শরীরের ৬০ শতাংশ সম্পূর্ণ পড়ে গিয়েছে ও তার শরীরে আগুন লেগে যায়। উপস্থিত স্থানীয় ঠিকা শ্রমিকরা তড়িঘড়ি তাকে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে এদিন অভিযোগ করা হয় ইস্পাত কারখানার ইলেকট্রিক্যাল ও সেফটি বিভাগের ব্যর্থতার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । এদিন শ্রমিক সংগঠনের কর্মকর্তারা আরো অভিযোগ করেন, “উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও কারখানার কাজে নিরাপত্তা সম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান না থাকার ফলেই প্রায় দৈনন্দিন ঠিকা শ্রমিকরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন । ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে ঠিকাদার সংস্থাগুলির সাথে একটি সমন্বয় তৈরি করে অবিলম্বে সেফটি বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার, না হলে আগামী দিনে এ ধরনের আরো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে ঠিকা শ্রমিকদেরকেই। অবাধ ঠিকা শ্রমিক অবিজ্ঞান সম্মতভাবে নিয়োগ, নিরাপত্তা সম্পর্কে তাঁদের উপযুক্ত জ্ঞান না থাকা, ঠিকা শ্রমিকদের প্রতিটি কাজের জায়গায় তাঁদের নিজস্ব সুপারভাইজার না থাকা, ডিএসপির বিভাগগুলির সাথে ঠিকাদারদের কাজের কো-অর্ডিনেশনের অভাব – ইত্যাদি প্রকট হ’চ্ছে এই দুর্ঘটনা থেকে আবারও।”
ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে এই ঘটনার তদন্তের জন্য বলে জানা গেছে।