নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- মাত্র ২৫ সপ্তাহে শিশুর শরীরে মার্কিন প্রযুক্তির ডিভাইস প্রতিস্থাপন করে প্রাণ রক্ষা হল। যা রাজ্যে প্রথম বলে দাবি করেছে দুর্গাপুরের গান্ধীমোড়ের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর ডিভাইস থেকে অস্ত্রোপচার, চিকিৎসা পুরো খচরই জুগিয়েছে রাজ্য় সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।
প্রসঙ্গত বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার বাসিন্দা পিন্টু মন্ডলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গত অগস্ট মাসের ১৩ তারিখ পেটে যন্ত্রণা নিয়ে গান্ধীমোড়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং ১৭ তারিখ তিনি প্রিম্যাচিউর শিশুসন্তানের জন্ম দেন।জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল মাত্র ৭১০ গ্রাম ৷
হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌম্যদীপ সরকার জানান, শিশুটি এতটাই প্রিম্যাচিওর ছিল যে তার শরীরের অধিকাংশ অঙ্গই ঠিক মতো গঠিত হয়নি ৷ তাকে মেডিক্যাল সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু শিশুটির হৃৎপিন্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা সবচেয়ে বড় রক্তনালি বা শিরার মুখ বন্ধ না হওয়ায় তাকে সাপোর্ট থেকে সরানো যাচ্ছিল না। এরপর শিশুরোগ বিভাগের কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসক নুরুল ইসলামের নেতৃত্ব একটি দল চিকিৎসা শুরু করে শিশুটির। কিন্তু অতো ছোট শিশুর অস্ত্রোপচার ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় প্রথমে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয় কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এবং মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এক ক্ষুদ্র ডিভাইস ‘পিকোলো’ (Piccolo) প্রতিস্থাপন করা হয় শিশুর হৃৎপিন্ডে। বর্তমানে শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডিভাইসটি সারাজীবন তার শরীরে থাকবে ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে স্বাস্থ্যসাথীতে ওই ডিভাইসের দাম পড়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ৷ বাকি অস্ত্রোপচার-সহ অন্যান্য খরচও স্বাস্থ্য সাথীতে হয়েছে।
অন্যদিকে ওই শিশুর বাবা পিন্টু মণ্ডল বলেন,”চিকিৎসকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আমার সন্তান জীবন পেল। ডিভাইস স্থাপন সহ সম্পূর্ণ খরচ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বহন করেছে। তাতে আমরা খুশি।”
গান্ধী মোড়ের ওই সুপার স্পেশাল্টি হাসপাতালের এই সাফল্য এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।



















