নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরের শোভাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এদিন আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় ওই ফ্ল্যাটে আগুন জ্বলছে। গোটা তলাটি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আবাসনের বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন দ্রুত পৌঁছয়। কিন্তু আবাসনের কাছাকাছি জলের ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় দমকল কর্মীদের। অবশেষে প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
যেই ফ্ল্যাটে আগুন লাগে তার বাসিন্দা চিকিৎসক অনুরাণ ভাদুড়ি তখন হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি জানান, “হাসপাতাল থেকেই শুনি আমার ফ্ল্যাটে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মূল্যবান নথিপত্র, থেকে আসবাবপত্র— কিছুই নেই। মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।”
অন্যদিকে ওই আবাসনের সবকটি ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মেয়াদ অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সেগুলোর রিফিল বা রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তে দ্রুত আগুন নেভানোর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা ছিল না আবাসনে। আগুন ছড়িয়ে পড়লেও স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই আগুন নেভানোর মতো প্রাথমিক কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এই ঘটনায় আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাসিন্দারা।
দুর্গাপুর দমকলের সাব-অফিসার পূর্ণেন্দু ভৌমিক এবিষয়ে বলেন, “এক্সটিংগুইশারগুলি মেয়াদ পেরিয়ে গিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”





