নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– বাবা মারা গেছে। মা অন্যের বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। তাই কিশোরী মেয়েকে পাত্রস্থ করে দায় সারতে চাইছিলেন মা। শুক্রবার ছিল নিকহা পড়ার দিন। কিন্তু তার আগেই খবর পেয়ে রুখে দাঁড়ালেন দুর্গাপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার শিল্পী পাল। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখলেন তিনি। ঘটনা দুর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গার ঘুষিকডাঙা এলাকার।
শিল্পী পাল জানান, “আমাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে একটি নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই এবং আমরা ওই বাড়িতে পৌঁছই। আমাদের সঙ্গে পুলিশও যায়। এরপর পরিবারকে সতর্ক করা হয় এবং জানানো হয় যে, আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পূর্ণ না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া অপরাধ। নাবালিকার মা কথা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না । তার কাছ থেকে মুছলেখাও নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নাবালিকার মা জানান সংসারে মাথার উপর কেউ নেই। এদিকে তিনি কাজের জন্য সারাদিন বাইরে থাকেন। বাড়িতে একা মেয়েকে রাখতে ভয় পান। কারণ এলাকার ছেলেরা প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে। তাই মেয়ের সম্মান রক্ষার জন্য ভিন রাজ্যে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
এদিকে জানা গেছে ওই নাবালিকা রাজ্য সরকারের প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। সবুজসাথীর সাইকেল ও কন্যাশ্রীর টাকা পেলেও বর্তমানে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল সে। এবিষয়ে শিল্পী বলেন, “নাবালিকা বিয়ে রুখতে সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের সাথে সাথে নানা সংগঠন এই বিষয়ে কাজ করলেও এখনও মেয়েদের নিয়ে সচেতন নয় সামাজের একটা বড় অংশের মানুষ। তাই বিয়ে রোখার পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার কাজে আরও জোর দিতে হবে। আজ যদি আমরা পদক্ষেপ না করতাম একটি নাবালিকার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যেত।”





