eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে রেল আধিকারিকরা

দুর্গাপুরে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে রেল আধিকারিকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আম্বেদকর কলোনি এলাকায়।

প্রসঙ্গত সোমবার দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু এলাকায় রেল কর্তৃপক্ষ রেলের জমির উপর বেআইনি দখলদারি সরিয়ে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার শেষ সময়সীমা দিয়ে মাইকিং করে। পাশাপাশি এলাকার প্রতিটা বাড়িতে ক্রস সাইন এঁকে দেয়। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে রেলের কর্তারা আম্বেদকর কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানে পৌঁছলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আম্বেদকর কলোনি সহ গোপীনাথপুর, বীরভানপুর মৌজা সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে মানুষজন। পুনর্বাসনের দাবিতে প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

অন্যদিকে এলাকায় উত্তেজনার খবর পেয়ে ছুটে যায় দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই, জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত। গত বছর ডিসেম্বর মাসে আসানসোল ডিআরএম অফিসে আলোচনা হওয়ার পরও রেল কর্তৃপক্ষ কেন উচ্ছেদের মাইকিং করতে গেলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব । স্থানীয়দের পাশাপাশি বিজেপি নেতাদেরও ক্ষোভের মুখে পড়েন রেল আধিকারিকরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কেউ কুড়ি কেউ পঞ্চাশ বছর ধরে বসবাস করছেন ওই এলাকায়। শুধু বসবাসই নয়, দেশের নাগরিক হিসেবে জল কর থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল সবই দেন তারা। কিন্তু পরিষেবা তো দূরের কথা পুনর্বাসন ছাড়াই তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা রেলের উন্নয়নের পক্ষে। পুনর্বাসন পেলেই তাঁরা সরে যাবেন। কিন্তু তার আগে উচ্ছেদ চলবে না। বিক্ষোভকারীরা এদিন জানান রেল বুধবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে বলেছে, আর এই কাজ যদি শুরু হয় তাহলে বীরভানপুর, গোপীনাথপুর, অঙ্গদপুর সহ প্রায় কম বেশি হাজার তিনেক মানুষ মাথার ছাদ হারাবেন। এই শীতে তারা কোথায় যাবেন প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।

কোনোভাবেই পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই ও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে আবার, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে ধারাবাহিক আন্দোলন জারি রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল। এখন দেখার বিষয় বুধবার থেকে রেল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে কিনা, আর যদি করে তাহলে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা কি হয়।

প্রসঙ্গত,ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত রেলের ফ্রেট করিডরের কাজ চলেছে । এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য রেলের জমি দরকার। তার জন্য আসানসোল দুর্গাপুরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments