নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর ভূমি রক্ষা কমিটির অবস্থান বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুরে। বিক্ষোভরত সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের বচসা ঘিরে বুধবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সিটিসেন্টারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে। পরে সংগঠনের সদস্যদের ধরপাকড় করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত দুর্গাপুরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালমাঠ এলাকা সংলগ্ন দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন ( ডিএসটিপিএস) ও পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর সিমেন্ট কারখানার দূষণের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে দুর্গাপুর ভূমি রক্ষা কমিটি। সম্প্রতি তারা জনজীবন রক্ষায় ছাইপুকুর বন্ধ সহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান করে। কমিটির সভাপতি ধ্রবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, গোপালমাঠ গ্রাম ঘেঁসে ডিএসটিপিএস ও দুর্গাপুর সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার ছাই পুকুর সহ দুষণের কারণে গোপালমাঠের মানুষের জনজীবনে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ডিএসটিপিএস ও সিমেন্ট কারাখানা কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থা ও উদাসীনতার ফলে গ্রাম লাগোয়া ছাইপুকুরগুলি রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ শাসক নেতৃত্বের তরফে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি এ ধরনের বেআইনি কাজকারবারে মোটা টাকা লেনদেন হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এরই প্রতিবাদে ও পরিবেশ প্রকৃতি ও জনজীবন রক্ষায় ছাইপুকুর বন্ধ সহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে এদিন সিটিসেন্টারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দুর্গাপুর ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। অভিযোগ এরই মাঝে হঠাৎ করে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশে বাহিনী সেখানে উপস্থিত হয় ও বিক্ষোভকারীদের আটক করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংগঠনের সদস্যদের বচসাও বেঁধে যায়।
এদিন ধ্রুবজ্যোতিবাবু বলেন, “পুলিশ কারখানাগুলির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দিল। আমাদের জোর করে আটক করে নিল। কিন্তু আমাদের কেউ থামাতে পারবেনা।”
আগামী দিনের আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা।





