নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর:– গার্জেন কলের ভয়ে ফিনাইল খেয়ে ফেললো সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী। ঘটনাটি এম এ এম সি’র মডার্ন হাই স্কুলের। অসুস্থ দুই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই ওই দুই ছাত্রীর নামে বিদ্যালয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর চান এক শিক্ষিকা। অভিযোগ, শিক্ষিকা অভিভাবকদের ফোন করবে সেই ভয়ে স্কুল ছুটির সময় শৌচালয়ে যায় ওই দুই ছাত্রী এবং সেখানে রাখা ফিনাইলের বোতল থেকে দুজনে ফিনাইল খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। দু’জনকেই তড়িঘড়ি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিদ্যাললয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, “ওরা কয়েকদিন ধরে দুষ্টুমি করছিল। তাই ওদের ডেকে ওদের অভিভাবকদের নম্বর চাওয়া হয়েছিল। যদি শিক্ষিকা পরিবারের কাউকে ফোন করে বলে দেয় ওদের দুষ্টুমির কথা, সেই ভয়েই স্কুল ছুটির সময় শৌচালয়ে গিয়ে একটি ফাঁকা ফিনাইলের বোতলে জল ভরা ছিল সেই জল একজন আরেকজনকে খাইয়ে দেয়।” পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, বাচ্চারা দুষ্টুমি করলে অভিভাবকদের তো জানাতেই হবে, নয়তো পরিবারের লোক উল্টে আমাদের দোষ দেবে। এই কাজ করতে গিয়ে যদি সমস্যায় পড়তে হয় তাহলে তো আর স্কুলই চালানা যাবে না।
যদিও দীপান্বিতার কাকা দুলাল দত্ত অভিযোগ করে বলেন, “ওরা তো এখনো বাচ্চা। মাথার মধ্যে অনেক কিছু আসতে পারে। আমরা তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বললাম ফিনাইলগুলো অন্য জায়গায় রাখা উচিৎ ছিল।”
অন্যদিকে মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মণ্ডল জানান, দুই ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। দু’জনই ফিনাইল খেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দুজনেরই অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।





