eaibanglai
Homeএই বাংলায়আন্তর্জাতিক কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে দুর্গাপুরের 'স্মল ওয়ান্ডার'

আন্তর্জাতিক কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে দুর্গাপুরের ‘স্মল ওয়ান্ডার’

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– কিকবক্সিং-এর আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে দুর্গাপুরের ছোট্ট আরাধ্যা ধীবর। বয়স মাত্র ৮বছর। এর মধ্যেই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় পদক জিতে নিয়েছ দুর্গাপুরের এই ‘স্মল ওয়ান্ডার’।

আসন্ন ১লা ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে আয়োজিত হতে চলেছে ওয়াকো ওপেন ইন্টারন্যাশনালে কিকবক্সিং প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশগ্রহণ করবে বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের হাজারের বেশী কিকবক্সিং খেলোয়াড়। এই প্রতিযোগিতায় চাইল্ড ক্যাটাগরিতে -৩৬ ও +৩৬ ওজনের পয়েন্ট ফাইট বিভাগে এবং মিউজিক্যাল ও ক্রিয়েটিভ ফর্ম বিভাগে অংশগ্রহণ করবে খুদে আরাধ্যা। গত বছর পুনেতে আয়োজিত জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় পদক পাওয়ার পরই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় আরাধ্যা।

মাএ ১ বছর ধরে দুর্গাপুরের এল এস এম কিক বক্সিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষক ঈশ্বর মাঝির তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে আরাধ্যা। এরই মধ্যেই ৬টি বড় প্রতিযোগিতায় প্রায় ২০টিরও বেশী পদক পেয়েছে সে। জেলা স্তরে ও রাজ্য স্তরে দুটি করে গোল্ড ও সিলভার এবং জাতীয় স্তরে দুটি ব্রোঞ্জ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ বেঙ্গল কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ ও স্পোর্টস কার্নিভালেও পদক পেয়েছে এই খুদে। এছাড়াও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাজ্য ব্যাপী ইন্টার স্কুল গেমসেও স্বর্ণ পদক জিতেছে সে।

প্রশিক্ষক ঈশ্বর মাঝি তাঁর এই খুদে প্রতিভাবান ছাত্রীকে নিয়ে খুইব আশাবাদী। তাঁর মতে বয়সে ছোট হলেও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও আগ্রহ রয়েছে এই খুদে খেলোয়াড়ের। পাশাপাশি ছোট হলেও নিয়মিত কঠোর অধ্যবসায় ও অনুশীলন করে চলেছে সে। আগামীদিনে দুর্গাপুরের এই মেয়ে শহর ও রাজ্য তো বটেই দেশেরও নাম উজ্জ্বল করবে বলে আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে আরাধ্যার মা কাকলী ধীবরও জানান, মেয়ের জন্য তাঁরা পরিবারের সকলেই গর্বিত ও আশাবাদী। তবে তাঁদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই খেলার অত্যন্ত ব্য়ায়বহুল সরঞ্জাম ও বিদেশে খেলতে যাওয়ার খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব। তাই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে প্রশিক্ষক ঈশ্বর মাঝিও জানিয়েছেন তাঁর অ্যাকাডেমিতে আন্তর্জাতিক মানের সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। কোন স্বহৃদয় ব্যক্তি, সংস্থা বা সরকার যদি পাশে দাঁড়ায় তাহলে আগামী দিনে আরাধ্যার মতো আরও অনেকে খেলোয়াড় তৈরি হবে যারা আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments