নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– বিশ্ব বিখ্যাত পন্ডিচেরি অরবিন্দ আশ্রমের শাখাকেন্দ্র দুর্গাপুর অরবিন্দ সোসাইটিকে এবার উচ্ছেদের নোটিশ পাঠাল ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত ১৯৮৮ সালে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষই লিজে জমি দিয়ে সহায়তা করেছিল ঋষি অরবিন্দ নামাঙ্কিত মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটিকে। যা এলাকার সামাজিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে অবিচ্ছেদ্য প্রয়াস করে চলেছে। আজও ঋষি অরবিন্দর ভাব ধারায় চলছে সংস্থাটি। অরবিন্দ আশ্রমের দুর্গাপুর শাখাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের মতে সেইলের সেই অমূল্য সমর্থন কখনো ভোলার নয়। সেই সময় বার্ষিক ১ টাকা টোকেন ভাড়া হিসেবে ৩৩ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছি আশ্রমের জমিটি। ধীরে ধীরে সেই পরত্যক্ত জমিতে ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের দানে ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট দুর্গাপুরের সিএসআর প্রকল্পের সহায়তায় আশ্রম গড়ে ওঠে। তৈরি হয় ধ্যানকক্ষ, লাব্রেরি, রিডিং রুম, অতিথি নিবাস। আশ্রম জুড়ে লাগানো বহু গাছ। বর্তমানে এই আশ্রমটি শহরের অন্যতম একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
বছর দুই আগে অর্থাৎ গত ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর আশ্রমের ৩৩ বছরের জমির লিজ শেষ হয়। এরপরই ডিএসপি কর্তৃপক্ষ ১৩,৩৬,০৬৩ টাকা ব্যায়ে পুনরায় ৩৩ বছরের লিজ পুনর্নবীকরণ করার জন্য জানায়। কিন্তু হঠাৎ করে সাম্প্রতিক একটি চিঠির মাধ্যমে তারা ৩৫,২০,৫৬৮ টাকার একটি বিশাল সংশোধিত দাবি উত্থাপন করেছে। যা চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই বিশাল অঙ্কের টাকা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করতে ব্যার্থ হলে অরবিন্দ আশ্রমটিকে অনুমোদনহীন দখলদার হিসেবে বিবেচিত করা হবে। এবং উচ্ছেদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যার জন্য বিদ্যুৎ এবং জলের পরিষেবা বিছিন্ন করা হতে পারে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
অন্যদিকে আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এত বিশাল অঙ্কের টাকা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে সেইলের চেয়ারম্যানকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী ও দুর্গাপুর বর্ধমানের সাংসদ কীর্তি আজাদের দ্বারস্থ হয়েছেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আপামর শ্রদ্ধাশীল শহরবাসী ও বুদ্ধিজীবীদের পাশে থাকের আহ্বান জানিয়েছেন।