সন্তোষ কুমার মণ্ডল, আসানসোলঃ- পুত্রবধূ খুনে দোষী সাব্যস্ত শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আসানসোল জেলা আদালত। এদিন আসানসোল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক মহুয়া রায় বাসু শঙ্কর ঘোড়ুইকে তার পুত্রবধূ টুম্পা ঘোড়ুইকে খুনের অভিযোগে ( ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারা) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান। পাশাপাশি তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই মামলায় মৃতার স্বামী সহ আরো ৫ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তথ্য প্রমাণাদির অভাবে সেই ৫ জনকে বেকসুর খালাস হয়ে যান।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১০ মে জামুড়িয়া থানার কুলডাঙ্গার বাসিন্দা টুম্পা ঘোষের সঙ্গে জামুড়িয়ার চুরুলিয়ার হারাধন ঘোড়ুইয়ের বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে পণ হিসেবে আরো টাকা, গয়না ও মোটরবাইক আনার জন্য শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা টুম্পার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। বিয়ের মাত্র তিনমাসের মধ্যেই ১৩ আগষ্ট রাতে শ্বশুর শঙ্কর ঘোড়ুইয়ের ঘরের বাথরুমের ভেতর থেকে টুম্পার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কাটা দাগ ছিলো। মৃতার বাবা মঙ্গল ঘোষ পরের দিন স্বামী, শ্বশুর সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আরো অভিযোগ ছিলো যে, টুম্পার স্বামী মুক ও বধির হওয়ায় তার শ্বশুর তাকে কুপ্রস্তাবও দিতো। মঙ্গল ঘোষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি বা আইপিসির ৪৯৮, ৩০২ ও ৩০৪/বি নং ধারায় ( কেস নং ১৬১/৫) মামলা করে পুলিশ। সেই খুনের মামলা ২০ বছর ধরে চলার পর সোমবার বিচারক মৃতার শ্বশুর শঙ্কর ঘোড়ুইকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা হয়। অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় স্বভাবতই খুশি মৃতার পরিজনেরা।





