সোমনাথ মুখার্জি, লাউদোহাঃ- সরস্বতী পুজোর বিসর্জন কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা লাউদোহার গৌর বাজার গ্রামে বলে গৌর বাজার বাসীদের একাংশের দাবী । রবিবার গৌর বাজার বাস স্ট্যান্ড পাড়ার ছেলেরা তাদের পাড়ার সরস্বতী বিসর্জন করতে যায় রাত্রি ৯ টা নাগাদ গৌর বাজার এলকারাই একটা পুকুরে। তাদের অভিযোগ সেই সময় হঠাৎ মধাইপুর এলাকার বেশ কিছু দুষ্কৃতী তীর ধনুক ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তাদের উপর। ঘটনায় তীরের আঘাতে আহত হন ছোটু বাদ্যকর নামে এক যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কয়েকদিন আগে গৌরবাজার এলাকার বেশ কিছু যুবক এলাকায় বালির গাড়িতে চাঁদা চায় কিন্তু চাঁদা নারাজ বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলে অভিযোগ। তাই তাদের সাথে সেই সময় বচসায় জড়িয়ে পড়ে গ্রামের কিছু যুবক। স্থানীয় সূত্রের খবর গৌর বাজার এলাকায় বালি কারবারিরা এতটাই আক্রমণাত্মক যে,যখন তখন অগ্নেয়স্ত্র নের করে হুমকি দেয়। ফলে এক প্রকার ভোটে সিটিয়ে থাকেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। গৌর বাজার এলাকায় বর্তমানে রয়েছে চারটে বালি ঘাট। যে ঘাট গুলো থেকে প্রত্যেকদিন বের হয় শয়ে শয়ে বালি বোঝায় গাড়ি। ডিসেম্বর মাসে এখানেই এক ব্যক্তিকে বালির গাড়িতে পিষে ফেলার কারণে অগ্নি গর্ভ হয়ে ওঠে গৌর বাজার এলাকা। সারি দিয়ে দাড়িয়ে থাকা পর পর ৭ টি বালির গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে এলাকায় বার বার খবরের শিরোনামে কেন উঠে আসছে গৌড়বাজার এলাকার নাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কিছু লোক জানান,এলাকায় বালি কারবারিদের গুন্ডাগিরি এতটাই যে, এই এলাকায় বালির কারবারের সাথে এলাকার শাসকদলের নেতারাও যে জড়িত আছে সেটার বলার অপেক্ষা রাখে না। আহত এক ব্যক্তির স্ত্রী রীনা বাদ্যকর জানান,তাদের লোকেরা তো কোনো অন্যায় করেনি তবে কেন বালি কারবারিরা তাদের লোকদের মারধর করেছে। এমনকি বালি কারবারিরা গুলিও চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
রবিবারের ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার সকাল থেকেই গৌর বাজার বাস স্ট্যান্ড এর কাছে রাস্তায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। যদিও পড়ে ফরিদপুর থানার পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।