সংবাদদাতা, বর্ধমান: আর্থিক দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি পি) শ্যামল কুমার গাঙ্গুলীকে দ্রুত অপসারণের দাবীতে আন্দোলনে নামলেন আদালতের এপিপিরা। এই ঘটনায় শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে আদালতে। এপিপি তথা সরকারী আইনজীবীরা আদালতের কোনো কক্ষেই এদিন কোনো মামলায় অংশ না নেওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বর্ধমান বার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা এপিপি সদন তা, সিনিয়র এপিপি বিশ্বজিত দাস প্রমুখরা জানিয়েছেন, বর্তমান পিপির জন্য সরকারের মুখ পুড়েছে। সদন তা বলেন, “কার্যতঃ তিনি যেভাবে পিপি পদে বসেছেন তা বৈধও নয়।” এদিন জেলা বিচারক সহ জেলাশাসকের কাছে এব্যাপারে স্মারকলিপিও দিয়েছেন এপিপিরা। প্রায় ৩০জন এপিপি এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন। ফলে এবিষয়ে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সদন তা-রা আরো জানিয়েছেন, এই পিপি সিভিক ভলেণ্টিয়ার এবং পুলিশ অফিসারদের দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছেন। তাঁদের কথায় চলছেন। একইসঙ্গে, এপিপিদের সঙ্গে তার অভব্য আচরণও মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। সবমিলিয়ে সরকারের মুখ পুড়ছে একাধিক মামলায়। তাদের কথায়, “এই অবস্থায় এই পিপিকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।” এদিকে, এই বিষয় সম্পর্কে খোদ পিপি শ্যামল কুমার গাঙ্গুলীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি বিশেষ কিছু বলবেন না। তিনি বলেন, “যে যা করছে করুক, আমার কিছু যায় আসে না।” এপিপিদের দাবী, এদিন জেলা জজ এবং জেলাশাসক তাঁদের দাবী ভালভাবে শুনেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিশ্বজিত দাস জানিয়েছেন, “যতদিন না এই পিপিকে অপসারণ করা হচ্ছে ততদিন তাঁরা আদালতের কাজ করবো না।” স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ঝুলে থাকা বহু মামলার ভবিষ্যত নিয়ে বিচারপ্রার্থীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।