নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান;– বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফিট ইণ্ডিয়া কর্মসূচীর উদ্বোধন করেছেন। সমগ্র ভারতবাসীর উদ্দেশ্যেই তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশ সমস্ত মানুষকে শারীরিকভাবে ফিট করার জন্য একাধিক কর্মসূচী নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, সমগ্র ভারতবাসীর শরীর যদি ফিট থাকে তাহলে গোটা দেশই ফিট থাকবে। সুস্থ এই শরীরের জন্য ব্যায়ামের উপকারিকতাকেও তুলে ধরেছেন তিনি। শুধু তাইই নয়, এদিন বয়স নির্বিশেষে শরীরকে ফিট রাখার জন্য যোগ থেকে ব্যায়ামের ওপর গুরুত্ব দেবার আবেদন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যখন শরীরকে ফিট বা সুস্থ রাখার কথা বলেছেন, সেই সময় সাউথ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা নবম এশিয়ান যোগ প্রতিযোগিতায় রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে প্রায় ৬৬ বছর বয়সে সাউথ কোরিয়ায় উড়ে গেলেন বর্ধমান শহরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পীযূষকান্তি জানা। পূর্ব বর্ধমানের শ্রীরামপুর হাইস্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক পীযূষবাবু। ২০১৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর তিনি প্রথম আকৃষ্ট হন রামদেবের প্রাণায়াম এবং যোগাসনের ওপর। সেই শুরুর ধাপ। এরপর ২০১৫ সালে তিনি বর্ধমান শহরে নিজের বেচারহাটের বাড়িতে শুরু করেন যোগাসন সুব্রত সরকারের তত্ত্বাবধানে। মাত্র ৬ মাস প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরই জীবনে প্রথম জেলা প্রতিযোগিতায় নামেন ওই সালেই। ৪র্থ স্থান পান ৩৫ উর্ধ বিভাগে। এরপর কখনও জেলা, কখনও জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় একের পর এক অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নবম এশিয়ান যোগ প্রতিযোগিতা। গোটা ভারতবর্ষ থেকে মোট ৩৯জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪জন সুযোগ পাচ্ছেন। তার মধ্যে পীযূষবাবু অন্যতম। সোমবারই তিনি দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ২৮ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে একটি কর্মশালা। তারপরই ৩ সেপ্টেম্বরই তিনি চলে যাবেন কোরিয়ার উদ্দেশ্যে। পীযূষবাবু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী যে ডাক দিয়েছেন তা যদি প্রতিটি স্কুলে স্কুলে পালিত হয় তাহলে প্রভূত উপকার হবে। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই যখন অবসরের পর ঘরকুনো হয়ে পড়েন, এমনকি নানাবিধ রোগভোগের শিকার হয়ে পড়েন, সেই সময় তিনি দৃষ্টান্ত হতে চাইছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি কোন্ রোগের জন্য কি কি ধরণের যোগাসন করা দরকার তাই জানাচ্ছেন। এতে ফলও পাচ্ছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিনই তিনি এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন – যেখানে বয়স কোনো বাধাই নয়।