জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গলসীঃ- বরুণ দেবের কিপমটেমির জন্য আষাঢ় মাস ছিল কার্যত বৃষ্টি শূন্য। প্রতিদিন সকালে সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে শ্রাবণ মাসটাও বৃষ্টি শূন্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। একরাশ হতাশা যখন ধীরে ধীরে চাষী সহ রাজ্য কৃষি দপ্তরের অধিকর্তাদের গ্রাস করছিল ঠিক তখনই গত ৩ রা আগষ্ট প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বরুণদেবের রুদ্র রূপের সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমানের গলসী এলাকার চাষীরা।
গত কয়েকদিনের মত সকাল থেকে আকাশে মেঘ ঘোরাফেরা করলেও বৃষ্টির প্রত্যাশা করেনি চাষীরা। অন্যান্য দিনের মত মাঝে মাঝে ছিটেফোটা বৃষ্টি অবশ্য হচ্ছিল। সাবমার্সিবেলের জল দিয়ে চাষের কাজটা টুকটাক হচ্ছিল। তারপর সবাইকে চমকে দিয়ে শুরু হয় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি।
একই গতিতে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে বহু জায়গায় চাষের জমির আলের অস্তিত্ব সাময়িক ভাবে লোপ পায়। ধানের চারা রোপণ করতে যাওয়া কৃষি শ্রমিকরা মাঝপথেই জমি থেকে উঠে আসতে বাধ্য হয়। ধানের চারা পড়ে থাকে মাঠে। মাঠের ধারে থাকা কৃষিজমি ও পুকুর মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। হলদি থেকে খানা জংশন যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তার উপর জল উঠে যায়। অনেক জায়গায় কচিকাচাদের মাছ ধরতে দেখা যায়।
ট্রাক্টর নিয়ে জমিতে চাষ দিতে গিয়েছিল খানা জংশনের সমজান সেখ। বৃষ্টির দাপটে চাষ দেওয়া বন্ধ করে জমি থেকে উঠে আসতে সে বাধ্য হয়। তার বক্তব্য – প্রবল বৃষ্টিতে জমির আল ভেসে যাওয়ায় জমি থেকে উঠে আসতে বাধ্য হই।
আর এক চাষী ধীরেনচন্দ্র ঘোষ বললেন- সাবমার্সিবেলের জল কিনে টুকটাক চাষ করছিলাম। আগের দিন বেশ কিছুটা জমিতে জল দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তাই অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে সব পণ্ড হয়ে যায়। যাইহোক যা বৃষ্টি হলো তাতে এবার ভালভাবেই চাষের কাজটা করা যাবে।