সংবাদদাতা, আসানসোল:- আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শনিবার আসানসোলের ইমাম আলি লেনে সংগঠনের অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় সহ সংগঠনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে বাস মালিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন ও সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। তারা বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহার ছাড়াও আসানসোলে কিছু লোকাল বাসও বেআইনিভাবে চলছে। যাদের কোন পারমিট নেই। নেই কোন নিদির্ষ্ট টাইম টেবিলও। যখন খুশি বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে আসানসোল শহরে বাস ঢুকছে। এমন বাসের সংখ্যা কমবেশি ৫০। এইসব বাসের আসানসোল শহরে ঢোকার কথা নয়। যে কারণে আমাদের মতো বাস মালিকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
শুধু ব্যক্তিগত বাস নয়, বাস্তবে দেখা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এসবিএসটিসি বা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অনেক বাসও পারমিট ছাড়াই বেআইনিভাবে চলছে। এমন বাসের সংখ্যাটা ৬০ এর মতো। এসবিএসটিসির বিভিন্ন ডিপো থেকে আসানসোলে বাস আনা হচ্ছে। যা আসার কথা নয়। এই কারণে আমাদের মতো বাস মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তারা এদিন বলেন, আমরা বারবার জেলাশাসক, আরটিও এমনকি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর কাছেও গেছি। সব কথা বলেছি। এই বিষয়ে আমরা রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে আবেদনও করেছি। আমাদের সমস্যার কথা বলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের সমস্যার কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
বিজন মুখোপাধ্যায় বলেন, এইসব বিষয় নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা আগামী ১১ মার্চ থেকে আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে অনশনে বসবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু সেই কথা জানতে পেরে মন্ত্রী মলয় ঘটক যোগাযোগ করেন। সংগঠনের লোকজনেরা গেলে তাদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রীর আশ্বাসের পর বর্তমানে সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই অনশন আপাততঃ বাতিল করা হচ্ছে। তবে তারা এদিন বলছেন, তাদের সমস্যার সমাধান না হলে অনশন করা হবে। পাশাপাশ ভবিষ্যতে তারা সংগঠনের ব্যানারে বৃহত্তর আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। তবে, আসানসোল বাস এ্যাসোসিয়েশনের এইসব অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসন, আরটিও এবং এসবিএসটিসির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।