eaibanglai
Homeএই বাংলায়হেপাটাইটিসের সচেতনতায় পুতুল নাচ

হেপাটাইটিসের সচেতনতায় পুতুল নাচ

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরাঃ- মোবাইল গেমে আসক্ত বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব অজানা হলেও বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য হলো পুতুল নাচ, বর্তমানে এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প। শুধু বিনোদন নয় দীর্ঘদিন ধরে এটি লোকশিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। পুতুল নাচের মাধ্যমে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী তুলে ধরে মানুষের মনোরঞ্জন যেমন করা হতো তেমনি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হতো। পুতুল নাচ হ’ল নাটকের একটা রূপ যেখানে পুতুলের মাধ্যমে কাহিনী বলা হয়। চোখের সামনে দর্শকরা পুতুলের নাচ দেখতে পায়। পেছনে শিল্পীরা অভিনয়ের মাধ্যমে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলে। অর্থাৎ ওটা হয়ে ওঠে অডিও-ভিসুয়াল মাধ্যম। এই মাধ্যমের জনপ্রিয়তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। তাইতো রেডিওর থেকে টেলিভিশন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

আর এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর রাজ্যের পুতুল নাচের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সম্পর্কে সাধারণ মানুষ সচেতন করার চেষ্টা শুরু করলেন। তারই অঙ্গ হিসাবে মেদিনীপুরের কাঁথির অগ্রগামী পুতুল থিয়েটার ‘কিছু কথা কিছু গান’ নিয়ে ১৮ ই অক্টোবর হাজির হয় গুসকরা স্টেশন চত্বরে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় গুসকরা পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সত্তরটির মত এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হবে।

অনুষ্ঠান শুরু ও শেষ হয় বাউল গানের মাধ্যমে। তারপর প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ‘কিছু কথা কিছু গান’ ও অভিনয়ের মাধ্যমে কিভাবে বিভিন্ন ধরনের হেপাটাইটিস বিস্তার লাভ করে এবং এর থেকে বাঁচাতে হলে কি করতে হবে সেটা তুলে ধরা হয়। স্টেশন চত্বর হওয়ায় উৎসুক মানুষের ভিড় হয় যথেষ্ট। চোখের সামনে প্রথমবারের জন্য পুতুল নাচ দেখার সুযোগ পেয়ে অনেকেই দৃশ্যগুলো মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী করতে শুরু করে। সংস্হার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে পীযুষ কুমার গিরি, পদ্মলোচন পড়্যা, সুজিত পড়্যা ও মতিলাল পড়্যা এবং পুরসভার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মী পার্বতী ব্যানার্জ্জী।

গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন – হেপাটাইটিস, ডেঙ্গু প্রভৃতি ভেক্টর বাহিত রোগ নিয়ে আমাদের পুরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা খুবই সতর্ক আছে। তারা মানুষকে নিয়মিত সচেতন করে চলেছে। আমরা কাউন্সিলাররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রচার করি। এরপর পুতুল নাচের মত জনপ্রিয় মাধ্যমের মাধ্যমে প্রচার সমগ্র বিষয়টিতে আলাদা মাত্রা আনবে। আশাকরি এরফলে মানুষ আরও বেশি সচেতন হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments