eaibanglai
Homeএই বাংলায়গুসকরায় 'বাংলা দিবস' পরিণত হলো 'সম্প্রীতি দিবস'- এ

গুসকরায় ‘বাংলা দিবস’ পরিণত হলো ‘সম্প্রীতি দিবস’- এ

সৌভিক সিকদার, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান -: গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। দলীয় নির্দেশ মেনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দিনটি ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালিত হচ্ছে। গুসকরা শহর তৃণমূলের উদ্যোগে দিনটি কার্যত ‘সম্প্রীতি দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি খুবই তাৎপর্যময়।

সম্প্রতি কিছু অপশক্তি বাংলার বুকে একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘বাংলা দিবস’ এর দিন অশান্তির বিরুদ্ধে সর্বস্তরে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের সর্বধর্মের শীর্ষ স্তরের মানুষদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

‘বাংলার মাটি, বাংলার জল…’ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা। পরে সমস্ত মনীষীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুবিমান ঘোষ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পৌরপ্রধান কুশল মুখার্জ্জী।

অনুষ্ঠানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহরের দু’টি মসজিদের দুই ইমাম সাহেব, আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে মঙ্গলা টুডু, ব্রাহ্মণ সমাজের জগন্নাথ ব্যানার্জি, হিন্দিবাসী সম্প্রদায়ের বয়স্কা মহিলা অনুথা পাসোয়ান, শিক্ষক সমাজের দুই প্রতিনিধি অধ্যাপক সমীরন রায় ও শিক্ষক নবকুমার পাল, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি কন্যাশ্রী উশ্রী চ্যাটার্জী। দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বরণ করা হয়। এলাকায় যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি নাহয় তার জন্য প্রত্যেকের কাছে আবেদন করা হয়। কোনো অপরিচিত মুখ দেখা গেলে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল শহর সভাপতি দেবব্রত শ্যাম ও যুব সভাপতি কার্তিক পাঁজা, প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুবিমান ঘোষ, বুথ সভাপতি, শাখা সংগঠনের সভাপতি, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম, চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ অন্যান্যরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments