eaibanglai
Homeএই বাংলায়স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির হলো গুসকরায়

স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির হলো গুসকরায়

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমানঃ- শুধু শিক্ষাদান নয় বারবার সমাজের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়ে চলেছে গুসকরা মহাবিদ্যালয়। কখনো দেখা যাচ্ছে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে পড়ছে এলাকাবাসীদের প্লাস্টিকজাতীয় জিনিসের ব্যবহার সংক্রান্ত কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে, কখনো বা তারা দুস্থদের শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে শিক্ষা সামগ্রী। এবার এলাকাবাসীদের তারা স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে এগিয়ে এল।

সামান্য সচেতনতার অভাবে যেসব রোগ পরবর্তী প্রজন্ম সহ পরিবারের সদস্যদের দিশাহারা করে তোলে তার অন্যতম হলো থ্যালাসেমিয়া। অথচ বিবাহের আগে ঠিকুজি-কুষ্ঠি যাচাইয়ের পরিবর্তে যদি ভাবি দম্পতির রক্ত পরীক্ষা করা হয় তাহলে এই রোগের হাত থেকে বেঁচে যাবে তাদের নিষ্পাপ সন্তানরা।

এলাকাবাসীদের সচেতন করার জন্য ও থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ২২ শে মার্চ গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস (ইউনিট ১ও২)এর উদ্যোগে এবং গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় গুসকরা পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাগানপাড়ায় থ্যালাসেমিয়া, এইচ.আই.ভি (এডস্) পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিট এবং জেলা এডস্ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।

শিবিরে মোট ৫০ জন স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণায়ক এবং এইচ. আই. ভি (এডস্) পরীক্ষা করান। স্থানীয়দের সঙ্গে সঙ্গে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও রক্ত পরীক্ষা করান। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জী, অধ্যাপিকা ড. সাবিনা বেগম, এনএসএস- এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মাণিক বিশ্বাস ও মনেশ্বর সরকার সহ এনএসএস-এর সদস্য তিতলি, প্রিয়া, সুস্মিতা, রিয়া, রূপসা, সুকান্ত, আকাশ, কার্তিক, তনুশ্রী প্রমুখ এবং গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি শিশির কুমার ঘোষ, সম্পাদক সজ্ঞীব বাছার এবং ওয়েষ্ট বেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির রাজ্য কমিটির সদস্য সৌগত গুপ্ত।

সুদীপ বাবু বললেন – ভবিষ্যত প্রজন্মকে থ্যালাসেমিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে হলে বিবাহের আগে এইচপিএলসি পরীক্ষা করতেই হবে। যেভাবে স্বাভাবিক লজ্জা দূর করে বর্তমান প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে তাতে আমি আশাবাদী সমাজ থ্যালাসেমিয়া মুক্ত হবেই। আমরা মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগামীদিনে আরও এইধরনের শিবিরের আয়োজন করব।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments