জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, হরিপাল, হুগলী -: নিজেদের ক্রিকেট দলে টেনে আনার জন্য ওদের পেছনে টাকার থলি নিয়ে ছোটেনা বড় বড় ব্যবসাদাররা, ওদের ইণ্টারভিউ নেওয়ার জন্য হামলে পড়েনা মিডিয়া হাউসগুলো, অথবা ওদের সাফল্যে খুশি হয়ে কেউ মালা নিয়ে অপেক্ষা করে থাকেনা স্টেশনে। এতকিছু অবহেলাকে উপেক্ষা করেও ৩ টি সোনা, ২ টি রূপো ও ২ টি ব্রোঞ্জ নিয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল করল ‘তায়কোয়ান্দো অ্যাকাডেমি অফ হরিপাল’ এর ছাত্রছাত্রীরা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ‘দেরাদুন এম. পি. প্যারেড গ্রাউন্ড’ স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় ১৫ তম ‘জাতীয় তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫’ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ‘তায়কোয়ান্দো অ্যাকাডেমি অফ হরিপাল’ এর ১০ জন ছাত্রছাত্রী বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সাফল্য এনে দেন। সেখানে আরও ২৪ টা রাজ্যের প্রতিনিধিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলার হয়ে স্বর্ণপদক জয় করেন স্পন্দিতা দে, তুয়া আদক ও অঙ্কিতা সাঁতরা। রৌপ্যপদক জয় করেন একর্ণা সাঁতরা ও দীপ্ত দাস। ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন প্রতীম কর্মকার ও প্রীতম দাস। কোনো পদক জয় করতে না পারলেও মাঠের মধ্যে তিয়াস, সায়ন ও রণিতের ‘ফাইট’ উপস্থিত বিচারক ও দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
হরিপালে ফেরার পর একাডেমির পক্ষ থেকে দলের কোচ দেবাশীষ শর্মা এবং দল ম্যানেজার অন্বয় দের হাতে পুষ্পস্তবক এবং ছাত্রছাত্রীদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তী, বেঙ্গল ট্রাডিশনাল তায়কোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাস্টার সুমিত ঘোষ সহ অসংখ্য ক্রীড়াপ্রমী মানুষ। কিন্তু জেলা ক্রীড়াদপ্তরের কোনো আধিকারিককে সেখানে দেখা যায়নি। ঘটনায় এলাকার ক্রীড়াপ্রমীদের যথেষ্ট হতাশ লাগে।
স্বর্ণপদক জয়ী স্পন্দিতা দে বললেন, রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরে আমরা খুব খুশি। অন্বয় বাবু বললেন – ভবিষ্যতে আমাদের ছেলেমেয়েরা যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম এই সাফল্য তারই প্রমাণ।





