eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরে জমা আবর্জনা থেকে তৈরি হবে জ্বালানি ও সার

দুর্গাপুরে জমা আবর্জনা থেকে তৈরি হবে জ্বালানি ও সার

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- মঙ্গলবার দুর্গাপুরের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়ার শঙ্করপুর এলাকায় উদ্বোধন হল একটি বর্জ‍্য নিষ্কাশন কেন্দ্রের। এদিন উদ্বোধনের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ। যেখানে পচনশীল আবর্জনা থেকে তৈরি হবে জৈব সার আর অপচনশীল আবর্জনা থেকে তৈরি হবে এক প্রকার জ্বালানি তেল। সেই জ্বালানি পৌঁছে যাবে সিমেন্ট তৈরির কারখানায়। জানা গেছে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডিজেল চালিত যন্ত্রের মাধ্যমে হবে বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ। তার পর বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রের মাধ্যমে চলবে ওই প্রক্রিয়া। দিল্লির একটি সংস্থা বর্জ্য নিষ্কাশনের দায়িত্ব নিয়েছে। ওই সংস্থাকে সরকারের তরফ থেকে প্রতি টন জৈব সার তৈরিতে ৪১৫টাকা করে দেওয়া হবে। পরে ওই জৈব সার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হবে।

অন্যদিকে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা যাতে আলাদাভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রে পৌঁছয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুরসভা। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে কঠিন ও অপচনশীল এবং নরম ও পচনশীল বর্জ্য সহজে সংগ্রহের জন্য বাড়িতে বাড়িতে সবুজ ও নীল দু’ধরণের বালতি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। গৃহস্থকে সবুজ বালতিতে পচনশীল ও নীল বালতিতে অপচনশীল বর্জ্য ফেলতে হবে। পরে সাফাই কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা সংগ্রহ করবেন।

প্রসঙ্গত দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়ার শঙ্করপুর এলাকায় দুর্গাপুর নিগমের ৪৩টি ওয়ার্ডের আবর্জনা ফেলা হত। দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় ধরে আবর্জনা ফেলার ফলে বর্তমানে সেই আবর্জনা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ১১ একর জমি দখল করে নিয়েছে। নোংরা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাজেহাল এলাকার বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই আবর্জনা সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সেই দাবি অবশেষে পূরণ হল। জানা গেছে আগামী ২০০ দিনের মধ্যেই ওই এলাকা থেকে আবর্জনা সরানো সম্ভব হবে। এর ফলে একদিকে যেমন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে তেমনই দুর্গাপুর শহরও আবর্জনা মুক্ত হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments