সংগীতা চৌধুরীঃ- একবার একজন ভক্ত স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ কে প্রশ্ন করেছিলেন,“ভাগ্য বলে কি কিছু নেই ?”, আপনি কোন বইতে ভাগ্যকে গুরুত্ব দেন নি? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ তার প্রত্যেকটি বইতে কর্ম আর প্রচেষ্টা কেই বারংবার গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি বারংবার বলেছেন ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পরেও আমাদের হাল না ছেড়ে প্রচেষ্টা করে যেতে হবে, তাই একবার একজন ভক্ত তাকে প্রশ্ন করেছিলেন সত্যি কি তবে ভাগ্য বলে কিছু নেই, কর্ম ই কি তবে সব? এর উত্তরে স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ বলেন যে, ভাগ্য বলে কিছু আছে কিনা তার থেকেও বড় বিষয় হলো ভাগ্য বিষয়ক চিন্তা মানুষের আদৌও কোন কাজে লাগে না। ভাগ্য বিষয়ক চিন্তা অনেকটা নেপচুন গ্রহ নিয়ে চিন্তা করার মতো। চিন্তা করেও কোন লাভ হয় না।
কিন্তু ভগবান বিষয়ক চিন্তা মানুষকে শক্তি দেয়। তাই ভাগ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে ভগবান নিয়ে ভাবা উচিত কারণ ভগবান নিয়ে ভাবলে অন্তরের মধ্যে শক্তি আসে। স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজের কথায়,“ নেপচুন গ্রহ সূর্যের চারদিকে ঘুরলেও এ নিয়ে আপনি মাথা ঘামান না। কেন? কারণ এই জ্ঞান দিয়ে আপনার কোনো লাভ হচ্ছে না এখন। কিন্তু মা কালী ঐতিহাসিক চরিত্র না হওয়া সত্ত্বেও আপনি তাঁকে মানেন। কারণ এই বিশ্বাস আপনাকে শক্তি দেয়। ভাগ্য সম্পর্কেও একই নীতি নিন।”
অর্থাৎ স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ বলেন যে, “ অজানা বা কল্পিত বিষয়ে ভরসা না করে আপনি নিজের জীবনকে অন্য দিশা ও গতি দিতে পারেন। অজানা বিষয়ের উপর আপনার কর্তৃত্ব না থাকলে সেটি নিয়ে চিন্তা করে লাভ কি? অজানা বিষয়ে তো নির্ভর করা যায় না। এজন্য ঐ উপাদান নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তাকে গুরুত্ব দিন যার উপর আপনার কন্ট্রোল রয়েছে। আপনি নিজের ভাগ্য প্রতিদিন গড়ছেন, গড়ে চলেছেন। একটু সতর্ক থেকে চিন্তা ও কাজ করলে বুঝতে পারবেন এই সত্য। অজানা ভাগ্যের উপর নিজেকে ছেড়ে দেওয়া নিজের স্বাধীনতা হারানো।”