নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান:- নগদে ৫ লক্ষ টাকা না দিলে নগ্ন অশ্লীল ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে – পাড়ার ছেলের এই হুমকির চাপে শেষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলো গ্রামের এক নাবালিকা। এই নিয়ে ভীষণ চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। শুক্রবার দিনভর।
আত্মঘাতী বালিকার হোয়াটসঅ্যাপে পাড়ার যে যুবক নিজের কেরামতিতে তার ঐ নগ্ন ছবি বানিয়েছিল, তাকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। সে এখন রাজ্যের বাইরে আছে, বলে জানা গেছে। মৃতের পরিবার ইতিমধ্যেই ঐ যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে হুমকি, তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছে।
শুক্রবার সকালে তার বাড়ি থেকে ঐ নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঐ ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানা এলাকায়।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবক বেশ কয়েকদিন ধরেই নাবালিকাকে হুমকি দিচ্ছিলো। টাকার দাবী করছিলো। এমনকি টাকা না দিলে নাবালিকার ছবি এডিট করে অশ্লীল ছবি তৈরী করে সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ওই যুবকের তরফে।
এরপরই পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে মানসিক অবসাদ থেকে ওই নাবালিকা আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।
জামালপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।
নাবালিকার বাবার অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই যুবকটি ফোন করে উত্ত্যক্ত করছিল তার মেয়েকে। গতকাল বাড়ির ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে যুবকটি মেয়ের সাথে যুবকের ছবি এডিট করে একটি অশ্লীল ছবি পাঠায় এবং হুমকি দেয় ৫ লক্ষ টাকা না দিলে অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবো।
এরপরই নাবালিকা মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হন বলে দাবী পরিবারের।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মন্ডল জানিয়েছেন, “পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়েটি আজ সকাল নটা নাগাদ গলায় দড়ি দিয়ে সুসাইড করেছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে, ময়নাতনদের জন্য আমরা পাঠিয়েছি, ছেলেটি স্টেটের বাইরে থাকে, পুলিশের তরফ থেকে একটি টিম করা হয়েছে সেটি ওখানে যাবে কাল।” তিনি বলেন, “ছেলেটি অশ্লীল ছবি এডিট করে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এই নাবালিকা কে, এরপরে সে গলায় দড়ি দিয়ে সুসাইড করেছে, আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।” মৃতের ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।