eaibanglai
Homeএই বাংলায়সূর্যের আলো দেখেন না হুগলির এই কালীমা! শনিবার হুগলির শকুনতলা রক্ষাকালী মায়ের...

সূর্যের আলো দেখেন না হুগলির এই কালীমা! শনিবার হুগলির শকুনতলা রক্ষাকালী মায়ের পুজো!

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী,তারকেশ্বর:- শনিবার ২৭/০৪/২৪ তারিখে শ্রী শ্রী শকুনতলা রক্ষা কালী মায়ের পুজো। হুগলির কোন্নগরে আছেন এই মা,১৩০ বছর ধরে কালীতলা এলাকায় মায়ের পুজোর শুরু হয়,আজ‌ও মহাসমারোহে চলছে কোন্নগরের শ্রী শ্রী শকুনতলা রক্ষা কালী মায়ের পুজো। হুগলি জেলার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে ঐতিহ্যশালী পুজো হলো কোন্নগরের শকুনতলা শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মায়ের পুজো।

প্রত্যেকটি বছর বৈশাখ মাসের কৃষ্ণা তৃতীয়া বা তার ঠিক পরে যে শনিবার আসে, সেদিনই মায়ের বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র কোন্নগর বা হুগলি জেলাই নয়, এই পুজোর খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে,তাই তো গোটা দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এই পুজোয় আসেন মায়ের দর্শন করতে। পুজোর দিন মায়ের থানে এত মানুষের ভিড় হয় যে দেখে মনে হয় কলকাতার কোন বড় পূজো হচ্ছে।

এখন আপনাদের মনে এই প্রশ্ন জাগতে পারে মায়ের নাম শকুনতলা কালী মায়ের থান কেন? আসলে ইংরেজ সরকার ১৮৩৬সালে যখন প্রথম রেললাইন বসানোর কাজ শুরু করেন, তখন কোন্নগর এলাকাতে গভীর জঙ্গলে ডাকাত আর ঠগীরা থাকতো রাস্তায় পথ চলতি কোন মানুষকে দেখলেই তারা সব লুটে নিত এই ঠগী আর ডাকাতরাই মায়ের পুজোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।বৈশাখ মাসের কৃষ্ণা তৃতীয়া বা তার ঠিক পরে শনিবারে রাতে ডাকাতরা কালীকে পুজো দিয়ে সারা বছরের ডাকাতির জন্য এই পুজোর সূচনা করেছিল। সেই সময় মস্ত একটি অশ্বত্থ গাছের নীচেই ছিল মায়ের থান। সেখানে ছিল রক্তমাখা একটি হাড়ি কাঠ। নরমাংস ও ছাগ মাংসের লোভেই গাছের ওপরে সেখানে বাসা বেঁধে থাকতো একদল শকুন। এই জন্যই মায়ের থানের নাম হয় শকুনতলা কালীমায়ের থান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments