নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– ঘটা করে সরকারি সাবমার্সিবল বসানো হলেও, তাতে বিদ্যুৎসংযোগ না থাকায় এলাকায় ধুঁকছে সবজি চাষ। মাথায় হাত চাষীদের। এদিকে বিষটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধী বিজোপির। অন্যদিকে প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস দিয়ে চলেছেন পঞ্চায়েত। ঘটনা পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বিদবিহারের নবগ্রাম এলাকার।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কাঁকসার বিদবিহারের অজয় নদের ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য বিদবিহারের নবগ্রামের চাষীদের বহু জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সেইসব জমির উপর থাকা বেশ কয়েকটি সাবমার্সিবলও ভাঙা হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এলাকায় আরো জমিতে চাষের উন্নতির জন্য সাতটি সাবমার্সিবল বসাবে সরকার। ২০২২ সালে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত ও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে সাবমার্সিবল বসানোর কাজও শুরু হয়েছিল। চাষের জমির উপর দুটি ঘর নির্মাণ করে এবং বোরিং করে সাবমার্সিবল বসানো হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ না পৌঁছানোয় আজও ওই সাবমার্সিবল থেকে জল বের হয়নি । অভিযোগ এর ফলে সেচের অভাবে এলাকায় ধুঁকছে সবজি চাষ। শীতকালীন সবজি বেগুন, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপির বীজ ও চারা রোপন করেছেন চাষিরা। কিন্তু সেচের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে সেই চাষ।
স্থানীয় চাষীরা জানান, সাবমার্সিবলে বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে একাধিকবার তারা বিদ্যুৎ দপ্তরে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কাঁকসার বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁকসার বিজেপির সহ-সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঢালী তৃণমূলকে নিশানা করে দাবি করেছেন প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে শাসক দল, ফলে এলাকায় ধুঁকছে চাষ, বিপন্ন চাষীরা। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন কাকে ভোট দিয়েছেন।
যদিও বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল সরকারের আশ্বাস দ্রুত সাবমার্সিবলগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।