নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– কাঁকসার কুলডিয়া গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও এক মহিলার। মৃতের নাম লক্ষ্মী হাঁসদা(৪০)। এর আগে রবিবার উর্মিলা মুর্মু (৩৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
বিষয়টি নিয়ে কাঁকসার বিডিও পর্ণা দে জানিয়েছেন পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এলাকার কয়েকটি টিউবওয়েল সিল করে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় যাতে পরিশ্রুত পানীয় জলের কোনো অসুবিধা না হয় তাও সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা পেট ব্যথা, বমি-সহ একাধিক ডায়রিয়ার উপসর্গে ভুগছিলেন। গত শনিবার উর্মিলা মুর্মুকে ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তিরত করা হয়। রবিবার সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। অন্য়দিকে সোমবার আরও চারজনকে ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে বুখী হাঁসদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাব রয়েছে। এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হওয়ায় পঞ্চায়েত থেকে ট্যাঙ্কারে করে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু সেই জল খাবার যোগ্য নয়। সেই কারণেই টিউবওয়েলের জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যেই পাইপলাইন বসানো হয়েছে গ্রামে, কিন্তু জল সরবরাহ শুরু হয়নি।
যদিও তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য দাবি করেছেন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া যাবে।