সংবাদদাতা,কাটোয়া:- স্ত্রীর পরকীয়া রুখতে না পেরে, তাকে একরাতের জন্য তার প্রেমিকের কাছে রেখে পরদিন সকালে আনতে গিয়ে চরম অপমানিত হয়ে শেষে আত্মঘাতী হলো দুই সন্তানের পিতা এক যুবক।
ঐ যুবকের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় বুধবার তার স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে আউশগ্রাম থানার অধীন গুসকরা বিট হাউসের পুলিস। ধৃতদের নাম সুরেশ কর্মকার ও লক্ষ্মী কর্মকার। আউশগ্রাম থানার দরিয়াপুরে তাদের বাড়ি।
বুধবার সকালে বর্ধমান-বোলপুর রোডে গুসকরা নুদিপট্টির কাছ থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বুধবার বর্ধমানের বিচারবিভাগীয় দায়রা আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৭ জুন ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দরিয়াপুর ডোকরাপাড়ার বাসিন্দা উৎপল কর্মকারের সঙ্গে মঙ্গলকোট থানার জালপাড়ার লক্ষ্মী কর্মকারের ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাদের দু’টি ছেলে-মেয়েও আছে। লক্ষ্মী কিছুদিন আগে সুরেশের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে কথা বলত, রাস্তাঘাটে বা এখানে ওখানে একান্তে দেখা করত।
সোমবার সকালে লক্ষ্মী কাউকে কিছু না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে সুরেশের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হয়। মীমাংসার জন্য একটি সালিশি সভা বসে। কিন্তু সালিশির শেষে লক্ষ্মী সুরেশের সঙ্গেই থাকবে বলে জানায় এবং ঐ রাতে সুরেশের বাড়িতেই সে থেকে যায়। সকলের সামনে লক্ষী জানায় উৎপল তাকে যৌণ সুখ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, তাই তার সাথে থাকার আগে একটি রাত তাকে সুরেশের সাথে কাটাতে দিতে হবে। বাধ্য হয়ে ঐ সভায় একটি রাতের জন্য স্ত্রী লক্ষীকে সুরেশের হাতে তুলে দিতে রাজিও হয়ে যায় উৎপল। তার বক্তব্য ছিল – ছেলে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে, সংসার টিকিয়ে রাখতে যা যা লক্ষী চাইবে, সে সবই মেনে নেবে।
পরেরদিন সকালে কথামত উৎপল তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে সুরেশের বাড়িতে যায়। সেখানে স্ত্রী এবং সুরেশের পরিবারের লোকজন তাকে অপমান করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এনিয়ে উৎপলের দাদা অশোক কর্মকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় একটি মামলা রুজু করে আউশগ্রাম থানা এবং লক্ষী, সুরেশকে গ্রেফতার করে।





