eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুয়ারে কচি বউ নিয়ে হাজির ক্ষুদে বর! চোখ কপালে বাসিন্দাদের

দুয়ারে কচি বউ নিয়ে হাজির ক্ষুদে বর! চোখ কপালে বাসিন্দাদের

সিরাজ রায়চৌধুরী, খন্ডঘোষ:- দুয়ারে কচি বউ বগলদাবা করে হাজির ক্ষুদে বর! চোখ কপালে উঠলো সবার। চমকে উঠলো ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে পরিষেবা নিতে আসা বাসিন্দারা।সরকার এতো নিষেধ করছে, তাও এতো কম বয়সেই এমন বেআইনি বিয়ে?

তবে, ভুল ভাঙলো অচিরেই। এটি কোনো বিয়ের আসর নয়, বরং বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা ছড়ানোর জন্য এটি ছিল অন্যরকম এক অভিনব উদ্যোগ।

রাজ্যের নবম ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চলছে এখন, যা শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। একেকদিন একেকটি পাড়ায় চলছে শিবির। এখন ৩৭টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে আধার সংশোধন, বিদ্যুতের বিল এবং ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের শসঙ্গা অঞ্চলের দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত সকলে এদিন আচমকা বিয়ের সাজে সুসজ্জিত ক্ষুদে বর বউয়ের উপস্থিতি দেখে বিস্মিত জনতা। কথায় কথায় জানা গেল, তারা বাল্যবিবাহ রোধে সরকারি প্রচারের অংশ হিসেবে এমন সাজে শিবিরে হাজির, সরকারি নির্দেশেই। কৈশোর কালে বিয়ে কতটা ক্ষতিকর এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে জীবন আসলে কতটা পিছিয়ে যায়— এই বার্তাই ছড়িয়ে দিতেই তাদেরকে শিবিরে এনেছে জেলা প্রশাসন।

আগামী প্রজন্মের সুনাগরিক হয়ে ওঠার পথে বাল্যবিবাহ একটি বড় বাধা। তাই, দুয়ারে সরকার শিবিরে এ ধরনের সচেতনতামূলক উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের। বর-কনের ভূমিকায় থাকা এই ক্ষুদে প্রতীকরা যেন এক নতুন বার্তা দিল—“বাল্যবিবাহ রুখে দাও, স্বপ্নের পথ তৈরি করো”।

জেলাশাসক আয়েষা রাণী এ জানান, “দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন সরকারী প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই সামাজিক নানান কুসংস্কার, সমাজের কিছু প্রচলিত ব্যাধি গুলো সম্পর্কেও মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে। আর এই সচেতনতার অঙ্গ হিসাবেই জেলাজুড়ে রক্তদান, বাল্যবিবাহ, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, অপুষ্টির মতো বিষয়গুলি সম্পর্কেও সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments