সুজয় কর, কলকাতা:- এই বাংলা বহু খ্যাতনামা কবির জন্মভূমি। যেকোনো সাহিত্য আলোচনায় একসঙ্গে উচ্চারিত হয় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, জীবনানন্দের নাম। এদের মধ্যে সবচেয়ে অল্প বয়সে প্রয়াত হন সুকান্ত ভট্টাচার্য। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি ভিন্ন স্বাদের একাধিক কবিতা উপহার দিয়ে গেছেন বাংলার কাব্য জগতকে এবং ‘কিশোর কবি’ হিসাবে বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
গত ১৩ ই মে ছিল কবির ৭৮ তম প্রয়াণ দিবস। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে দিনটি পালিত হয়। কলকাতার সুপরিচিত সাহিত্য সংগঠন ‘স্বজন’-এর উদ্যোগে ‘কিশোর কবি’র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিয়ালদহর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের বিপরীতে সুকান্ত ভট্টাচার্যের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্ট কবি, শিক্ষিকা তথা বাচিক শিল্পী মধুমিতা ধূত, মৌমিতা মুখার্জি ও সংগঠনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু।
কলকাতা কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট কবি আলমগীর কবীর হৃদয়ের হাতে উত্তরীয়, বই ও সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছবি তুলে দিয়ে তাকে বরণ করেন বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার সত্যকাম বাগচী। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা ‘কিশোর কবি’ তরুণ পাত্রকে বিশেষ সম্মান জানান কবি ও শিক্ষিকা পত্রলেখা ঘোষ। সে নদীয়ার বিশিষ্ট কবি শুভ্রা ঘোষের লেখা কবিতা পাঠ করেন। সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কবিতা পাঠ করেন কল্যানীর দোলন দত্ত, কবি সত্যকাম বাগচী ও পত্রলেখা ঘোষ। কবির জীবনী নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক আকাশ পাইন। উপস্থিত অতিথিদের সবার হাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি তুলে দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন কবি চন্দনা কুন্ডু ও মৌমিতা মুখার্জি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাফিদ আহমেদ ও ইতিহাসের ছাত্রী সৃষ্টি বণিক।
সংগঠনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু বলেন – নতুন প্রজন্মের সামনে এই সব গুনীজনদের জীবনী প্রচার করা ভীষণ প্রয়োজন। নাহলে বাংলার এইসব মহামূল্যবান সম্পদগুলো স্মৃতির অন্তরালে চলে যাবে। প্রত্যেকেই হাততালি দিয়ে তার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন।