সোমনাথ মুখার্জী, লাউদোহাঃ প্রতিশোধ স্পৃহার জেরে আট বছরের এক নাবালিকাকে গলা টিপে খুন করে সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। এমনই হাড় হিম করা ঘটনা ঘটেছে লাউদোহার ফরিদপুর থানা এলাকায়। জানা গেছে সোমবার বিকেল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দা বছর আটেকে কবিতা শুক্লাকে। দীর্ঘক্ষন মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় সোমবারই স্থানীয় থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বাবা রাজেশ শুক্লা। মঙ্গলবারও কিশোরি বাড়ি না ফেরায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। নিখোঁজ নাবালিকার বাবা রাজেশ শুক্লা পুলিশকে জানান, দিন কয়েক আগে এলাকার এক যুবক কামালু তার বড় মেয়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় তাকে বেধড়ক মারধর করেছিল রাজেশ ও ও এলাকাবাসীরা। পুলিশকে তিনি জানান, সেই মারের বদলা নিতেই কামালু তার ছোট মেয়েকে গায়েব করেছে। সেইমতো পুলিশ রাজেশকে সঙ্গে নিয়ে কামালুর বাড়িতে হানা দিলে তল্লাশি চালালে ওই বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় নিথর কবিতার দেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান কবিতাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত কামালু ও তার তিনসঙ্গীকে পান্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। পেশায় ঠেলা চালক রাজীব শুক্লা মেয়েকে হারিয়ে শোকার্ত ভাষায় দোষীদের ফাঁসীর সাজা দাবি করেছেন।