সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- ত্রিকোণ প্রেমের জেরে চলন্ত বাসেই স্ত্রীর প্রেমিকের গলায় ছুরি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করল স্বামী। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হল স্ত্রীও। গতকাল রাতে দুর্গাপুরগামী চলন্ত বাসে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার মল্লেশ্বরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনায় আহত দুজনকেই ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বছর ছয়েক আগে মালদার হবিবপুরের বাসিন্দা নমিতার সঙ্গে প্রেম ও পরে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার অলকাধড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ সিংহ বাবুর। বছর তিনেক আগে তাঁদের একটি মেয়েও হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে সহ নিখোঁজ হয়ে যান নমিতা। এরপর নমিতার শাশুড়ি অর্চিতা সিংহবাবু সিমলাপাল থানায় লিখিত অভিযোগে জানান ময়ুরেশ্বরের যুবক শেখ ঔরঙ্গজেব তাঁর পুত্রবধু নমিতা ও নাতনিকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে। গতকাল বিশেষ সূত্রে নমিতার স্বামী সৌরভ খবর পান খাতড়া আদালতে প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন নমিতা।
এরপর থেকেই নমিতাকে অনুসরণ করতে শুরু করে স্বামী সৌরভ। নমিতা নিজের মেয়ে ও শেখ ঔরঙ্গজেবকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর গামী বাসে উঠলে কেরানীবাঁধ এলাকায় সেই বাসে উঠে পড়ে স্বামী সৌরভও। এরপরই চলন্ত বাসে সৌরভ হাতে ছুরি নিয়ে ঔরঙ্গজেবের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন নমিতাও। ঘটনার পর পরই বাস থেকে নেমে রাতের অন্ধকারে চম্পট দেয় সৌরভ। ঘটনায় হতচকিত বাস চালক বাস ঘুরিয়ে সোজা বাঁকুড়া সদর থানার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। এরই মাঝে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ বাসটির কাছে পৌঁছে ওই বাসে করেই আহতদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সৌরভের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করলেও এখনো অধরা অভিযুক্ত সৌরভ।