সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- শ্রী সারদা মা তাঁর আত্মকথায় বলেছিলেন যে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন তার শ্বশুর ভিটেতে আবির্ভূত হয়েছিলেন স্বয়ং মা লক্ষী। কিন্তু তাঁর শাশুড়ি মাতা দেবীকে চিনতে পারেননি তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। লক্ষ্মী পূজার দিন মায়ের এই আত্মকথা শুনলে আপনার মন ইতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লক্ষ্মী পুজোর দিন মায়ের আত্মকথা-
মায়ের আত্মকথা- কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী বৈকুন্ঠ থেকে পৃথিবীতে আসেন। আমার শাশুড়ি কামারপুকুরে দেখেছিলেন, চোদ্দ পনেরো বছরের মেয়ে, গৌরবর্ণ কানে কুন্ডল, হাতে হীরার বালা, ঠাকুরের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা কয়েছিল।
শাশুড়ি জিজ্ঞেস করলেন , “হাঁগা , কে তুমি ?”
লক্ষ্মী বললেন, “এই আমি এইখানেই আসছি।”
শাশুড়ি বললেন, “আমার ছেলকে দেখেছ পূজা করতে গেছে, রাত হয়েছে, এখনও এল না।”
লক্ষ্মী বললেন, “হাঁগো, সে আসছে, চালকলা বেঁধেছে, এই যে আমিও সেইখান থেকেই তোমাদের বাড়ি আসছি।”
আমার শাশুড়ি বললেন, “না মা বাড়িতে কেউ নেই , এখন এস না।”
“আচ্ছা”- বলে দেবী অন্তর্ধান হলেন ।
আমার ভাসুর এসে সব শুনে বললেন, “মা, তুমি বুঝতে পারনি , স্বয়ং লক্ষ্মী এসেছিলেন। কোজাগর পূর্ণিমা কিনা আজ।”