eaibanglai
Homeএই বাংলায়না ফেরার দেশে প্রবীণ শিক্ষক

না ফেরার দেশে প্রবীণ শিক্ষক

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোটঃ- সরকারি খাতায় পোশাকি নাম বিপুলানন্দ সরকার হলেও আট থেকে আশি সবার কাছে তিনি ‘সাধু’ বাবু নামেই জনপ্রিয় ছিলেন। এমনকি তাদের তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে সাধু বলেই সম্বোধন করতেন। পশ্চিম মঙ্গলকোটের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ‘সাধু’ বাবু গত ১৭ ই এপ্রিল বৈকাল ৩ টা নাগাদ নিজ বাসভবনে ‘তারা’দের দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্র বধূ, কন্যা, নাতি, নাতবৌ, নাতির দুই পুত্র এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সরকারি খাতায় পোশাকি নাম বিপুলানন্দ সরকার হলেও আট থেকে আশি সবার কাছে তিনি ‘সাধু’ বাবু নামেই জনপ্রিয় ছিলেন। এমনকি তাদের তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে সাধু বলেই সম্বোধন করতেন। পশ্চিম মঙ্গলকোটের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ‘সাধু’ বাবু গত ১৭ ই এপ্রিল বৈকাল ৩ টা নাগাদ নিজ বাসভবনে ‘তারা’দের দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্র বধূ, কন্যা, নাতি, নাতবৌ, নাতির দুই পুত্র এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক ছিলেন তিনি। বাংলা ছাড়াও অঙ্ক, ইংরেজি ও সংস্কৃততে তাঁর দখল ছিল অসাধারণ। ছাত্রদের প্রতি দরদ ছিল দেখবার মত। শুধু তাই নয় তিনি একজন দক্ষ শিল্পী ফুটবলার ছিলেন। একসময় মোহনবাগান জুনিয়র টিমে তিনি খেলতেন। অনায়াসে তিনি একাধিক ফুটবলারকে ‘ডজ’ করে এগিয়ে যেতেন। শিক্ষক হিসাবে এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন।

দাদু অন্তপ্রাণ তাঁর নাতি প্রেমাঙ্কুর (টুবলু) বলল – আজ আমি যেটুকু হয়েছি সবই আমার দাদুর জন্য। জানি জন্মালে মরতেই হবে। কিন্তু আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে কি এমন ক্ষতি হতো? নিজেকে বেশ অসহায় লাগছে। কথা বলতে বলতে আনমনা হয়ে পড়ল সে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments