eaibanglai
Homeএই বাংলায়সন্ধ্যে থেকে চাণক অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে প্রচণ্ড বৃষ্টি

সন্ধ্যে থেকে চাণক অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে প্রচণ্ড বৃষ্টি

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোটঃ- সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলায়, সেটা টি-২০ বা ৫০ ওভার হতে পারে, একটা কথা খুব চালু আছে – উইকেট বাঁচিয়ে রেখে স্লগ ওভারে পিটিয়ে রান তুলতে হবে। ১১ ই ও ১২ ই অক্টোবর পরপর দু’দিন ধরে যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে বিদায় নেওয়ার আগে এবারের বর্ষাকাল স্লগ ওভারের মত ব্যাটিং শুরু করেছে।

সরকারি সময়কে অমান্য করে কিছুটা আগে এদেশে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করলেও এবার বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ খুব একটা ভাল হয়নি। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এই দেশ তথা রাজ্যের কৃষিকাজ মূলত বৃষ্টি নির্ভর। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার জন্য ঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করা যায়নি। সরকারি হিসাবে অনেক জমি নাকি ফাঁকা পড়ে আছে। আবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার জন্য জলাশয়গুলো কার্যত ভর্তি হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এখন প্রয়োজনের সময় সেচের জন্য আমন ধানের জমিতে পুকুর থেকে জল পাওয়াটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আসন্ন বোরো বা আলু চাষের সময় জমিতে জলসেচ নিয়েও একটা অজানা আতঙ্ক থেকে গ্যাছে।

ঠিক তখনই বিদায় নেওয়ার মুখে গত দু’দিন ধরে চাণক অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে স্লগ ওভারের মত শুরু হয়েছে মারকাটারি বৃষ্টি। সঙ্গে বিদ্যুতের চমক। সন্ধ্যে থেকে শুরু করে একটানা প্রায় এক ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের পর ক্রিকেটের জলপানের বিরতির মত কিছুক্ষণ বিশ্রাম এবং তারপর আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই একই ঢঙে – কেবল চার ও ছয়। দেড় ঘণ্টার উপর চালিয়ে ব্যাট করার পর এখন অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে জিওফ্রে বয়কটের ধাঁচে ব্যাটিং চলছে। আপাতত থামার কোনো লক্ষণ নাই।

কথা হচ্ছিল বালিডাঙার চাষী তাপস বিশ্বাসের সঙ্গে। তার বক্তব্য – ধানের জমিতে জলের টান ধরেছিল। অতিরিক্ত খরচ করে নদী থেকে জল তুলে সেচ করছিলাম। এই বৃষ্টির জন্য খুব উপকার হলো। তবে যেসব ধান পেকে গ্যাছে তার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তাসত্ত্বেও সার্বিকভাবে ভাল হলো।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments