জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোটঃ– একটাই শব্দ, শুনলেই জব্দ / মেয়েদের চোখে আসে জল/ কী সেই অক্ষর, মমতার সাক্ষর/ পারিস তো শব্দটা তুই বল/ – একটি মাত্র অক্ষর দিয়ে গড়ে ওঠা শব্দ ‘মা’ ডাক শুনলে পৃথিবীর প্রতিটি নারীর মন আকুল হয়ে ওঠে। ব্যাকুল হৃদয়ে সে খুঁজে ফেরে ‘মা’ ডাক দেওয়া সেই ব্যক্তিটিকে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী পরিবার থেকে শুরু করে সবচেয়ে গরীব পরিবারের নারীর ক্ষেত্রে এর কোনো ব্যতিক্রম দ্যাখা যায় না। তবে এই ‘মা’ কেবল মানুষ নয়, মনুষ্যেতর জীবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তাইতো দ্যাখা যায় নিজে শীর্ণ চেহারা নিয়েও মা-কুকুর তার সন্তানকে স্তন পান করাচ্ছে। তবে এ কাহিনী এক মা কুকুর ও বাছুরকে নিয়ে। ঘটনাটি মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের বালিডাঙা গ্রামের।
১৫ ই ডিসেম্বর অন্যান্য দিনের মত গ্রামের বাসিন্দা সৌভিক শিকদার বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যাওয়ার সময় একটি বাছুরের ‘হাম্বা’ ডাক শুনতে পেয়ে থমকে দাঁড়ায়। অবাক হয়ে দ্যাখে একটি ‘মা’ কুকুর এসে দাঁড়িয়ে পড়েছে বাছুরটির সামনে। সেই বাছুরটি ‘মা’ কুকুরের স্তন পান করছে। অন্যদিকে কুকুরটি পরম যত্নে সন্তান স্নেহে তাকে স্তন পান করিয়ে চলেছে। বাৎসল্য স্নেহের স্বর্গীয় দৃশ্যটি দেখে চমকে ওঠে সৌভিক। কোনো রকম অসুবিধা সৃষ্টি করতে তার মন চায়নি। একেবারে শেষ মুহূর্তে হাতের মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে এই বিরল দৃশ্যের ছবি সে তুলে নেয়।
সৌভিক জানালো- অনেকবার সে এই ঘটনার কথা শুনেছে। কখনো ফেসবুকে ছবিতে দেখেছে মানব শিশু অন্য কোনো প্রাণীর সঙ্গে খেলছে । কিন্তু মন থেকে বিশ্বাস করতে পারিনি। আজ চোখের সামনে দৃশ্যটি দেখে চমকে উঠেছি। তার উপলব্ধি – মায়ের কাছে সন্তানের একমাত্র পরিচয় সে সন্তান, তার অন্য কোনো পরিচয় নাই। সে আরও বলল – দৃশ্যটি তার মনে এতটাই গেঁথে গ্যাছে যে বাছুরটির মালিক কে সেটার জানার চেষ্টা সে করেনি।