জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মেমারিঃ- যতদিন বাংলা চলচ্চিত্র থাকবে ততদিন চিত্রপরিচালক তথা চলচ্চিত্রপ্রেমীরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার তথা লেখক মৃণাল সেনকে। তার পরিচালিত প্রথম দুটি চলচ্চিত্র সেভাবে মানুষের মনে ছাপ ফেলতে না পারলেও তৃতীয় ছবি ‘বাইশে শ্রাবণ’ তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয়। এরপর ছিল তাঁর শ্রেষ্ঠ ছবি ‘ভুবন সোম’। ১৯৭২ সালের আগে ও পরে বাংলার অন্ধকার যুগের ইতিহাস ধরা পড়া তাঁর ট্রিলজি ‘ইন্টারভিউ’, ‘কলকাতা’ ও ‘পদাতিক’ চলচ্চিত্রে। তাঁর দুই বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘খারিজ’ ও ‘আকালের সন্ধানে’ এনে দেয় আন্তর্জাতিক সম্মান। বাংলা ছাড়াও তিনি হিন্দি, ওড়িয়া ও তেলুগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁর পরিচালিত ‘জেনেসিস’ হিন্দি, ফরাসি ও ইংরেজি- এই তিনটি ভাষায় তৈরি হয়।
বাংলা তথা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৪ সালের ১৪ ই মে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ‘মৃণাল সেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি’-র উদ্যোগে আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর মেমারির ‘কৃষ্টি’ প্রেক্ষাগৃহে এই বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এই বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য মৃণাল সেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি ১২ ই সেপ্টেম্বর মেমারিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ডা. অভয় সামন্ত, সম্পাদক দীপঙ্কর বিশ্বাস ও কোষাধ্যক্ষ তন্দ্রা বসু।
অভয় বাবু বললেন – ভারতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের প্রতি সম্মান জ্ঞাপনের জন্য ও তার সৃষ্টি সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে অবহিত করার জন্য মেমারির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন দুপুর ২ টোর সময় আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। আলোচনা সভার শেষে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘চালচিত্র’ ও ‘ভুবন সোম’ চলচ্চিত্র দুটি প্রদর্শন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অভয় বাবু বললেন – বর্তমান সময়ে মৃণাল সেনের চলচ্চিত্রগুলি থেকে যেসব শিক্ষা পাওয়া যায় সেগুলি যুবসমাজের কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।