জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোটঃ- করোনা জনিত নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দু’টো বছর বন্ধ থাকলেও ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মঙ্গলকোটের নতুনহাটের একাদশীর সন্ধ্যা রঙিন হয়ে ওঠে ইচ্ছাময়ী সংঘের সৌজন্যে। দূরদর্শন শিল্পীর সঙ্গীত এবং স্হানীয় ‘সুর সঙ্গম ড্যান্স গ্রুপ’ ও আরও কিছু শিল্পীর ভিন্ন স্বাদের নৃত্যে ভরপুর এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার পায় স্হানীয় বাসিন্দারা। একটানা একঘেয়ে জীবনে সত্যিকারের আনন্দ বয়ে আনে এই অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান শুরু হয় দূরদর্শন শিল্পী তৃণা মুখার্জ্জীর ‘বাজল তোমার আলোর বেণু’ সঙ্গীত দিয়ে। এরপর বাচ্চাদের নৃত্য এবং নৃত্যের মাঝে মাঝে সঙ্গীত দর্শকদের মুগ্ধ করে। পাপিয়া দাস ও পূজা ধারার মহিষাসুর বধ নৃত্য দর্শকদের চোখের সামনে যেন তুলে আনে একটুকরো স্বর্গের অসুর বধের দৃশ্য। ছোট্ট শিশু সুতি ধারার ‘কলকাতার রসগোল্লা’ মুহূর্তের মধ্যে ‘রক্তলেখা’-র দেবশ্রী রায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। পুচকে মেয়ের নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানের শেষাংশ ছিল আকর্ষণীয়। মঞ্চে সমস্ত শিল্পীদের উপস্থিত করিয়ে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত নৃত্য শিল্পীদের অধিকাংশ ‘সুর সঙ্গম ড্যান্স গ্রুপ’ এর শিক্ষার্থী। প্রতি রবিবার স্হানীয় একটি পাঠাগারে নৃত্য শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রেমানন্দ মুখার্জ্জীর উপস্থাপনার গুণে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ছিল। অনুষ্ঠানে দর্শক হয়েছিল প্রচুর।
ইচ্ছাময়ী সংঘের সম্পাদক বাপি কৈবর্ত্য বললেন – সবার সক্রিয় সহযোগিতায় আমরা পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে আনন্দ দেওয়া। অনুষ্ঠান স্হলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তিনি উপস্থিত দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য তিনি একইসঙ্গে ‘সুর সঙ্গম ড্যান্স গ্রুপ’ -এর দুই কর্ণধার ডালিম মুন্সী ও কেয়া কুণ্ডুর কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।