সন্তোষ কুমার মণ্ডল, পাণ্ডবেশ্বরঃ- “কেন্দ্রীয় সরকার ও কয়লা মন্ত্রক চক্রান্ত করে ইসিএলকে শেষ করে দিতে চাইছে। এদের জন্য ইসিএল আজ চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। ইসিএলের কয়লার টাকা গুজরাটে সিএসআর-এর কাজে লাগানো হচ্ছে।” দাবি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর।
প্রসঙ্গত ইসিএলের ভ্রান্তনীতির বিরুদ্ধে ও কয়লা শিল্পে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের খনি এলাকার শ্রমিক সংগঠন কেকেএসসি বা কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার পাণ্ডবেশ্বরে ইসিএলের এরিয়া কার্যালয়ে ধর্ণা অবস্থান করে কেকেএসসির সদস্য কর্মী শ্রমিকরা। সেখানে উপস্থিত হয়েই তৃণমূল বিধায়ক কয়লা শিল্প নিয়ে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
অভিযোগ,কয়লা শিল্পে বেসরকারিকরণের নেতিবাচক প্রভাব ও বেসরকারি সংস্থাগুলির অসাধু কার্যকলাপে জেরে চরম সংকটের মুখে পড়েছে ইসিএল। একদিকে কয়লার গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হচ্ছে না।
ক্ষুব্ধ শ্রমিক সংগঠনের দাবি, কয়লার গুণগত মান খারাপ হওয়ায় বাজারে ইসিএলের কয়লার চাহিদা ও বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনে। এদিকে অনিয়মিত বেতনের কারণে শ্রমিকদের পরিবার চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে।
এদিন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ও কয়লা মন্ত্রক চক্রান্ত করে ইসিএলকে শেষ করতে চাইছে। এদের জন্য ইসিএল আজ চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোন নিয়ম না মেনে প্যাচ করে, বেসরকারি সংস্থাকে কয়লা তোলার অনুমতি দিচ্ছে। তাদের মুনাফার টাকা গুজরাটে সিএসআর-এর কাজে লাগাচ্ছে। অথচ এখানে কোন সিএসআর-এর কাজ করা হয়না। এর আগের,তার আগের সিএমডি এই পাণ্ডবেশ্বরে একটা ইকো পার্কের শিলান্যাস করেছিলেন। এখন সেই পার্কের কথা যখন জিএমকে বলি, তখন তিনি জানান, সবকিছু হয়ে গেছে। কাজ শুরু হলো বলে। তার এই কথা শুনে ঘুম পেয়ে যায়। যারা পদ্ম ফুলে ভোট দেন, তাদের বলছি, এখনো ভেবে দেখুন। এই পদ্মফুল আপনাদ পেটে পাঁক তৈরি করছে।”
এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন “অবিলম্বে বেতন দেওয়া না হলে এবং ভবিষ্যতে এই অনিয়ম চলতে থাকলে শ্রমিকরা বৃহত্তর আন্দোলন বা প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। যদি কর্তৃপক্ষ ভেবে থাকেন, এই রকম ভাবে চলবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন। ইসিএলে কেকেএসসির ৩০ হাজারেরও বেশি সদস্য আছে। তারা ছেড়ে কথা বলবে না। এই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায়ভার কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।”



















