জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, পুরুলিয়া:- সাংবাদিকদের কলমে বারবার ফুটে উঠেছে অবৈধ বালি, পাথর বা কয়লা খাদানের কথা।অথবা চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরায় সেই দৃশ্য বন্দী হয়েছে। এইসব খবর সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের প্রায় সবকটি অবৈধ খাদান বন্ধ করে দেয়। এরফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে খাদান মাফিয়ারা। তাদের আক্রোশ এসে পড়ে সাংবাদিকদের উপর। প্রতিশোধ নিতে তারা মরিয়া হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি পুরুলিয়ার বলরামপুরে বন বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে পাথর খাদান চালানোর খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসন অবৈধ পাথর খাদানগুলি বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি আদিবাসী নেতা লক্ষ্মীনারায়ণ সিং সর্দার অবৈধ খাদান বন্ধের দাবি তুললে এলাকার তিন ব্যবসায়ী তাকে জাতি তুলে কু’কথা বলেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। আতঙ্কিত লক্ষ্মীনারায়ণ বাবু বলরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে আদিবাসীদের একটি সংগঠনের সদস্যরা পাথর খাদান চালুর দাবিতে বলরামপুর ব্লকের বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। সেখানে উপস্থিত হন সাংবাদিকরা। তাদের দেখেই লক্ষ্মীনারায়ণ বাবুকে কুকথা বলা মূল অভিযুক্ত সহ খাদান মাফিয়ারা প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনেই সরাসরি আঙুল উঁচিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দিতে থাকে।
এই ঘটনায় এলাকায় যেমন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।প্রশ্ন হলো, একজন অভিযুক্ত কীভাবে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার সাহস পান? আদিবাসী সংগঠনকে সামনে রেখে কোনো কোনো মহল কি নিজেদের গোপন স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করছে?
অন্যদিকে লক্ষ্মীনারায়ণ বাবুও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কেন তাদের গ্রেপ্তার করছে না? এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীনারায়ণ বাবু পুনরায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।
এখন দেখার, পুলিশ প্রশাসন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কতটা তৎপর হয়।





