সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– গত দুদিন ধরে রেল শহর আসানসোলের চিত্তরঞ্জনে চলছে রেলের অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ অভিযান। সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে সিমজুড়ি এলাকার কাপুর বস্তিতে চলে উচ্ছেদ অভিযান, যেখানে এদিন প্রায় ৪২টি অবৈধ নির্মাণ বা বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু দেখা যায় ওই এলাকায় থাকা বিজেপি কার্যালয়টি ভাঙ্গা হয়নি। আর এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষ থেকে বিরোধীরা দলের নেতা ও কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির চিত্তরঞ্জনের সভাপতি শঙ্কর তেওয়ারী বলেন, বিজেপির দলীয় কার্যালয়টি তখনই ভাঙতে দেওয়া হবে যখন চিত্তরঞ্জন শহরের মধ্যে থাকা বাকি সব রাজনৈতিক দলের কার্যালয় গুলি ভাঙা হবে।
অন্যদিকে যাদের বাড়ি রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিচ্ছে বা দিয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তার নির্দেশ মতো সোমবার ও মঙ্গলবার উচ্ছেদ হওয়া প্রায় শখানেক পরিবারকে হিন্দুস্তান কেবলসের ভগ্ন আবাসনে ও এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া হাইস্কুল ভবনে অস্থায়ী ভাবে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে হিন্দুস্থান কেবলস পূর্নবাসন সমিতি।
এদিকে এই প্র্রচণ্ড শীতে এভাবে এত মানুষকে উচ্ছেদ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কর তেওয়ারী বলেন,এদের প্রত্যেকের যেখানে নিজেদের বাড়ি রয়েছে, সেখানে চলে যাওয়া উচিত। অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সালানপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিজয় সিং বলেন, রেল হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের অধীন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গবীর মানুষের উপর শোষণ নীতি গ্রহণ করেছেন। রেল আগে থেকে নোটিশ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এত ঠান্ডার মধ্যে গরীব মানুষের মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়া অমানবিক। তারা সবাই ৩০-৪০ বছর ধরে এই এলাকায় রয়েছে। পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা এখানকার সরকারি স্কুলগুলোতে পড়াশোনাও করে। যদি বিধায়ক তাদের পাশে না দাঁড়াতো তবে তারা কোথায় যেতো?
সব মিলিয়ে রেলের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক তরজায় এই প্রচন্ড শীতেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রেল শহর চিত্তরঞ্জন।