সংবাদদাতা, আসানসোল:- সারাদেশে আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে ৮৫ হাজার কোটিরও বেশি মূল্যের বিভিন্ন রেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার বিকেলে আসানসোল স্টেশনের প্রিমিয়ার লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা ডিআরএম চেতনা নন্দ সিং এডিআরএম আশীষ ভরদ্বাজ আসানসোল ডিভিশনের অন্যান্য শাখা আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আসানসোল ডিভিশনের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অবহিত করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডিভিশনাল রেলওয়ে প্রান্তিক শ্রেণির কারিগরদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ প্রদানে ‘একটি স্টেশন এক পণ্য’ (ওএসওপি) স্টলের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। আহসান ডিভিশনে মোট ২৯ টি ওএসওপি স্টল স্থানীয় কারিগরদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে। যা রেলওয়ে স্টেশনে তাদের পণ্যগুলি প্রদর্শন এবং বিক্রি করতে সাহায্য করবে। তাদের কাজের জন্য বড় শহরে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা দূর করবে। ওএসওপি স্টল স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্য এবং এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রচারে রেল সহায়তা করবে। যার ফলে যাত্রীদেরকে স্থানীয় পণ্যগুলি দেখার এবং কেনার সুযোগ দেওয়া হবে।
ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার আসানসোল ডিভিশনের থাপারনগর গতি শক্তি কার্গো টার্মিনালের উৎসর্গের সাথে লজিস্টিকসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই টার্মিনাল পরিবহন নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে এবং সমগ্র অঞ্চল জুড়ে পণ্য চলাচলকে সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই টার্মিনালের অনেক সুবিধা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, ট্রানজিটের সময় হ্রাস এবং শিল্প কেন্দ্র এবং বাজারের মধ্যে আরও ভাল সংযোগ।
ডিআরএম বলেন, আসানসোলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে শুভারম্ভ করবেন। এই নতুন ট্রেনটি আসানসোল-হাতিয়া এক্সপ্রেস গিরিডি রুটে ভিস্তাডোম কোচ সহ চলবে। যাতে যাত্রীরা এই ধরনের কোচে ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে দেওঘরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উল্লেখ করার মতো রয়েছে। দেওঘরে ২৪ টি এলএইচবি টাইপ কোচের রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিক লাইনের জন্য দেওঘর কোচিং রক্ষণাবেক্ষণ পিট বৃদ্ধির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং স্ট্যাবলিং লাইন সহ ওয়াশিং পিট উৎসর্গ করা হবে। দেওঘরে এই কোচিং পরিকাঠামোর উন্নয়ন দেওঘর এলাকা থেকে বা এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী ট্রেন পরিচালনা করতে সাহায্য করবে। এর ফলে বৈদ্যনাথ ধাম থেকে তীর্থযাত্রীদের আরাম হবে। এই উদ্যোগগুলি কেবল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতাকে উন্নত করবে না বরং নিরাপত্তার মানকেও উন্নত করবে।