সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- খোদ বিএলও’র নামই ভেরিফিকেশনের কবলে। এমনই উলটপুরাণের ঘটনা সামনে এসেছে আসানসোলের রূপনারায়ণপুরে। এসআইআর ফর্ম পূরণের জন্য যিনি ছিলেন প্রায় হাজার ভোটারের ভরসা, সেই তিনিই ও পরিবারের সদস্যরা পড়লেন ফর্ম ভেরিফিকেশনের পাল্লায়।
আসানসোলের সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারির ৭৩ নম্বর বুথের বিএলও গৌতম চৌধুরী। প্রাক্তন এই সেনাকর্মী বর্তমানে পেশায় শিক্ষক। রাজ্যে আসআইআর প্রকল্প চালু হলে তনি নির্বাচন কমিশন দ্বারা বিএলও হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব পান। তাঁর বুথে ভোটার সংখ্যা ৯১৫ জন। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এনুমারেশন ফর্ম বিলি সংগ্রহ ও ডিজিটাইজেশনের কাজ। আগামী ১৬ তারিখ প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। তার আগে ম্যাচিং না হওয়া ভোটারদের ফর্ম যাচাই করতে হচ্ছে বিএলওদের। গৌতমবাবুর বুথে ১১০ জন ভোটারের ফরম যাচাই করার নির্দেশ জারি হয়েছে। আর সেই তালিকায় নাম রয়েছে বিএলও গৌতম চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা।
এ প্রসঙ্গে পিঠাকিয়ারি অঞ্চলে এসআইআর ফর্ম পূরণে সহযোগিতার জন্য আয়োজতি শিবিরের অন্যতম কার্যকর্তা পঞ্চায়েত সদস্য অসীম ঘোষ বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই নামের বানান বা কুমার থাকা না থাকা কিংবা সম্পর্কের সঠিক উল্লেখ না থাকার কারণে অনেকেরই ফরম ভেরিফিকেশন করার নির্দেশ আসছে।”
তবে যিনি কিনা ৯১৫ জন ভোটারের দায়িত্ব সামলালেন, তিনিই পড়লেন ভেরিফিকেশনের আওতায়! মজার বিষয় হল নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এই তথ্য যাচাই করতে হবে বিএলও গৌতম চৌধুরীকেই।


















