সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– তৃণমূল কর্মী ও পুলিশের বিরুদ্ধে দলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগে সালানপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের চলে ধস্তাধস্তি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সালানপুর থানা চত্বরে।
ঘটনার সূত্রপাত, গত ৬ এপ্রিল। অভিযোগ, সালানপুর থানার পাহাড়গোরার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী উমেশ নুনিয়ার বাড়িতে ওই দিন চড়াও হয়ে মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় । পরে সালানপুর থানার পাহাড়গোরা ক্যাম্পের পুলিশ ওই বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। বিজেপির দাবি, কোন লিখিত অভিযোগ ছাড়াই, শুধুমাত্র ফোনে অভিযোগ শুনে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে আটক করে ও পরদিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁর জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে উমেশ নুনিয়া এবং তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই প্রতিবাদে তথা পাহাড়গোরা ক্যাম্পের এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন সালানপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় ও বারাবনি মন্ডল ৪-এর সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলে। পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। যদিও তার আগে থানার গেটে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ডল সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি বলেন, “সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশ এখন কোন কিছু করেনা। পুলিশ শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে তোলা আদায় করে। পাহাড়গোরা ক্যাম্প তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।”
অন্যদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার পাল্টা বিজেপির ওই কর্মীকে মানসিক রোগী বলে দাবি করেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ মারধর করেনি। উমেশ নুনিয়া মানসিক রোগী। তার চিকিৎসার দরকার রয়েছে। বাড়ির লোকের তা করা উচিত ছিল। এলাকার বাসিন্দারা সব জানেন।”
