eaibanglai
Homeএই বাংলায়তাহলে সিন্ডিকেটই ? কয়লায় টাকা লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও

তাহলে সিন্ডিকেটই ? কয়লায় টাকা লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও

মনোজ সিংহ, দুর্গাপুরঃ– তাহলে নতুন সিন্ডিকেটই ? অন্ততঃ সেই তত্বেই সিলমোহর দিলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্যের সভাপতি। শুক্রবার আসানসোলে এসে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন “কয়লা চুরির নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে এই শিল্পাঞ্চলে । আবার তাতে পুরনো কিছু কয়লা চোর, যারা বিভিন্ন কয়লা মাফিয়ার আন্ডারে কাজ করতো, তারা জোট বেঁধে অন্য কায়দায় ফের কয়লা কারবারে নেমে পড়েছে। সবটাই চলছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা-দাদাকে ফিট করেই অবৈধ কয়লার ফলাও কারবার।”

রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরুও হয়েছে সুকান্ত’র এই মন্তব্যকে ঘিরে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী সুকান্তের দাবি উড়িয়ে বলেছেন, “উনি নিজের দলের সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে জাস্ট হাওয়া গরম করতেই এসব আবোল তাবোল বকছেন।”
ভাল কথা। কিন্তু, সুকান্ত’র দাবি কি আদৌ কোন সারবত্তা নেই ?

তাহলে, রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়ির খাদানে ভেতরে থেকে যেসব কয়লা চোরের সারি সারি লাশ বেরিয়ে এলো তারা রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ই সি এল এর খনির শ্রমিক নয়, তাহলে তারা খাদানের ভেতরে কি করতে গেছিল ? সুকান্ত’র দলেরই স্থানীয় বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল নিজের মুখে বার বার বলেছেন “অন্তত ৮ জন মারা গেছে নারায়ণকুড়িতে। ওরা গরীব মানুষ। চাকরি-বাকরি নেই, রোজকার নেই, তাই পেটের টানে কয়লা কাটতে, খাদানে যায়।” একই কথা সিপিএমের বলিষ্ঠ নেতা বংশ গোপাল চৌধুরীরও। তিনি দাবি করেন, “নতুন করে সিন্ডিকেট করে কয়লা কারবার যে শুরু হয়েছে তা তো সবাই বুঝতে পারছে। বুঝতে পারছে না শুধু পুলিশ আর তৃণমূল কংগ্রেস। “

বারাবনির কোন এক ‘কান্তা শর্মা’ নামের জনৈক দাগী কয়লা কারবারির নাম উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের কাছেও। সেই কান্তা’র মাথায় হাত কার ? তাকে পুলিশ এখনো খুঁজে পাচ্ছে না কেন ? সে কি তবে পলাতক ? নাকি কৌশল করে তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কোথাও ?
আরো প্রশ্ন- কান্তা কি একা নাকি তার সাথে দুর্গাপুর আসানসোলের চিহ্নিত কয়লা কারবারিরাও জড়িয়ে রয়েছে ? সুকান্ত, বংশ সিন্ডিকেটের কথা বলেছেন। সিন্ডিকেট মানে তো একা কেউ নয় , সাথে আছে সাঙ্গঁ পাঙ্গঁ । শোনা যাচ্ছে, শিল্পাঞ্চলের কিছু ব্যবসায়ীও নাকি নতুন করে সিন্ডিকেট চালানোর নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন, টাকার যোগানের ব্যবস্থা করছেন। বিশেষতঃ যেসব ব্যবসায়ীর সাথে পুলিশকর্তা ও নেতা-দাদাদের গা-ঘষার সম্পর্ক রয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments