সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- ভগবান বিষ্ণু বদ্রীনারায়ণ নামে বদ্রীনাথে পূজিত হন আর শীতকালে তিনি চলে আসেন যোশী মঠে, এই কারণে যোশী মঠকে শীতকালীন আবাস বলা হয়, কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এই যোশীমঠের নরসিংহ মন্দিরেই একসময় বিরাজ করতেন ভগবান আর একটি ঘটনার পর তিনি রাগ করে বদ্রিনাথ চলে যান! কিন্তু কী সেই ঘটনা? এক সময় রাজা নন্দ ঘোষ যোশী মঠের অধিপতি ছিলেন। রাজা ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত আর রাজার আরাধ্য ভগবান বিষ্ণু নরসিংহ রূপে পূজিত হতেন নরসিংহ মন্দিরে। একবার রাজার ভক্তি পরীক্ষা করতে স্বয়ং ভগবান নারায়ণ এসেছিলেন এখানে, কিন্তু ভগবান যখন এখানে এসেছিলেন, তখন রাজা এখানে উপস্থিত ছিলেন না তাই রানী অতিথি সেবার ব্যবস্থা করেন, খাওয়া-দাওয়ার পর ছদ্মবেশী ভগবান নারায়ণ রাজার পালঙ্কেই নিদ্রা যান। ইতিমধ্যেই রাজা ফিরে এসে দেখেন এক অপরিচিত ব্যক্তি তার পালঙ্কে শুয়ে রয়েছেন। প্রচন্ড রেগে গিয়ে বিন্দুমাত্র না ভেবে তলোয়ার বার করে আগন্তুকের হাতে বসিয়ে দিলেন রাজা, হাত সম্পূর্ন না কাটলেও হাত কেটে ঝুলে রইল আগুন্তুকের,অন্তর্হিত হলেন ভগবান বিষ্ণু। রাগ কমলে মন্দিরে পুজো করতে গিয়ে রাজা দেখলেন তার আরাধ্য বিগ্রহ নরসিংহের এক হাত কাটা! রাগের বশে কি ঘটনা তিনি ঘটিয়ে ফেলেছেন তা বুঝতে আর তার বাকি রইল না! তখন অনুতপ্ত চিত্তে রাজা অশ্রুসজল নয়নে ভগবানের কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করলেন, কিছুদিন পর রাজাকে স্বপ্নাদেশে ভগবান বিষ্ণু জানিয়ে দিলেন যে,তিনি চললেন বদ্রীনাথ,সেখানেই যেন তার পুজোর ব্যবস্থা করা হয়, বদ্রীনাথে যখন বরফ পরে তখন সেখান থেকে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি নিয়ে এসে এখানে পুজো করা হয়। তাই যশীমঠকে বদ্রীনাথের শীতকালীন আবাস বলা হয়।