সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় পরমপদকমলে বইতে লিখেছিলেন, শ্রী মাকে, দক্ষিণেশ্বরের কালী মা দর্শন দিয়েছিলেন প্রবল জ্বরের মধ্যেও। সেই দর্শনে তিনি শ্রী মাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন পরমহংসদেবের কথা। জগদীশ্বরী দেখা দিয়ে জগৎ জননী কে কি বলেছিলেন চলুন জেনে নিই। পরমপদকমলে বইতে লেখা আছে, “মা প্রথম দক্ষিণেশ্বরে আসছেন-…….এল বেহুঁশ জ্বর। পড়ে আছেন, ভূমিশয্যায় চটিতে। মা কালী তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন : “তুমি দক্ষিণেশ্বরে যাবে বৈকি, ভাল হয়ে সেখানে যাবে, তাঁকে দেখবে। তোমার জন্যই তো তাঁকে সেখানে আটকে রেখেছি।”……. সবই মা ভবতারিণীর খেলা। তিনি জানতেন রামকৃষ্ণ সম্ভাবিতকে, জানতেন সারদাসম্ভাবনাকে। তিনি জানতেন, রামকৃষ্ণ স্বল্পায়ু। যে-লীলা অবতীর্ণ হবে তাঁকে ঘিরে, তাঁর অবর্তমানে কে তা ধারণ করবে, কে প্রবাহিত করবে সেই বিচিত্র, ঐশ্বরিক লীলাতরঙ্গ! করবেন সারদা। তিনি হবেন, মা-সারদা। ……মা ভবতারিণী নিজেই তো ঠাকুরের ইষ্টপথের সহায় হতে পারতেন। তিনিই তো সব। মা সারদার কি প্রয়োজন ছিল ? ঠাকুর নিজেই বলেছেন : “মহামায়া দ্বার ছাড়লে তাঁর দর্শন হয়। মহামায়ার দয়া চাই। তাই শক্তির উপাসনা।”
একবার এক যুবক ভক্ত ঠাকুরকে বলছে : “আপনাকে যারা অবতার বলে তারা ইতর।” ঠাকুর বিস্মিত। “সে কি কথা! তুমি তাদের ছোটলোক বলছ। তাদের না হয় চিনতেই ভুল হয়েছে ভক্তির আতিশয্যে বলে ফেলেছে অবতার।” যুবকটি সক্রোধে বললে : “আপনি অবতার নন। আপনি স্বয়ং সাক্ষাৎ শিব।’ সচল শিবঠাকুর রামকৃষ্ণ, সচল কালী মা-সারদা।”