সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- দুঃখ এবং যন্ত্রণার মধ্যে পড়লে মনে হয় ঠাকুর তুমি কোথায়? তুমি কি করে আমাকে এত দুঃখ দিচ্ছো যেখানে আমি কোন পাপ এবং অন্যায় করিনি। এখন মানুষ যখন দুঃখের মধ্যে পড়েন তখন সে অস্থির চিত্ত হয়ে অনেক সময় অনেক ভুল কাজ করে ফেলেন, যার ফলে তাকে পরবর্তীকালে পস্তাতে হয়, তাই এ ক্ষেত্রে জগজ্জনননী শ্রী সারদা মায়ের বক্তব্য বিশেষভাবে মনে রাখা উচিত, শ্রী মা বলেছেন, “দুঃখ তো ভগবানের দয়ার দান। দুঃখে ভগবানকে মনে পড়ে। সে ভগবান হলেন আনন্দময়। তাঁকে ভুলেই মানুষ যত কষ্ট পায়। কুন্তিদেবীও ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছেন,লোকে যেখানে দুঃখ দেয় সেখানে তাঁকে সর্বদা রাখার জন্যে। কারণ দুঃখের মধ্যে আনন্দস্বরূপ ভগবানকে মনে পড়বে। স্বার্থপরতা ও ভোগের আকাঙ্ক্ষা মানুষকে অজ্ঞান করে রাখে দুঃখ ভোগ করায়।”
অন্যদিকে ঠাকুর আবার দুঃখ প্রসঙ্গে বলেছেন, ঈশ্বরকে ভুলে থাকলেই দুঃখ ঘিরে এসে ধরে। শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথা অনুযায়ী, “ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে হয়। তাঁকে ভুলে থাকলে কালের হাতে পড়তে হবে। তাই ঈশ্বরে অনুরাগ আর বিষয়ে বিরাগ এই হলো উপায়। জগতের সর্বত্রই আনন্দ ছড়িয়ে আছে।” - আসল কথা হলো যে ভক্ত সে দুঃখের মধ্যেও ভগবানের লীলা খুঁজে পায় ভগবানের অন্তর্নিহিত মাহাত্ম্য খুঁজে পায়, তাই দুঃখ তার কাছে আর দুঃখ বলে মনে হয় না।