সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া :
আকাশের নীল সাদা মেঘ পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছে , শরতের কাশফুল আর ভোরের শিশির মাখা শিউলি ফুল জানান দিচ্ছে মা আসছে । হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরে ঢাকে কাঠি পড়বে । কিন্তু এতসবের পরেও মনে আনন্দ নেই বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের ।
গত তিন দিনের বৃষ্টিতে প্যান্ডেল ব্যবসায়ীরা সেইভাবে প্যান্ডেলের কাজ করতে পারছেন না । এতে একদিকে যেমন খরচের বহর বাড়বে অন্যদিকে তেমনি রাত দিন এক করে প্যান্ডেলের কাজ করতে তাদের । ফলে বৃষ্টির জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন প্যান্ডেল ব্যবসায়ীরা ।
এর পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরাও । টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে সেই অর্থে সূর্যের দেখা মেলেনি , ফলে তাদের ঠাকুর শুকোতে দেরি হচ্ছে । এইভাবে যদি আরো কয়েকটা দিন চলতে থাকে তাহলে কিভাবে সঠিক সময়ে তারা ঠাকুর ডেলিভারি দেবেন তাই ভেবে কুল পাচ্ছেন না মৃত শিল্পিরা । এই রকম বৃষ্টি চলতে থাকলে তাদের আগুন ধরিয়ে ঠাকুর শুকাবার ব্যবস্থা করতে হবে , ফলে মন্দার বাজারে ঠাকুর তৈরির খরচ আরো বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন তারা ।
নিম্নচাপের জেরে সমস্যায় পড়েছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরাও । বৃষ্টির জেরে বাড়ির বাইরে সেই অর্থে কেউ পা রাখছেন না । ফলে বেশিরভাগ দোকানপাট ফাঁকা । ব্যবসায়ীদের দাবি মহাজনদের কাছে ধার করে দোকানে মাল তুলেছি কিন্তু এ বছর বেচাকেনা একেবারেই নেই , তার উপর বাদ সেধেছে নিম্নচাপের এই বৃষ্টি । কিন্তু এইরকম ভাবে যদি আরো কয়েকটা দিন চলতে থাকে তাহলে মহাজনের কাছ থেকে করা ধার কিভাবে শোধ হবে তাই ভেবে কুল পাচ্ছিনা ।
এখন দেখার বিষয় এই বৃষ্টি আর কদিন চলে । আবহাওয়া পরিষ্কার হলে ব্যবসায়ী থেকে মৃৎশিল্পী সকলেরই দারুণভাবে উপকৃত হয় । কিন্তু এখন কবে এই বৃষ্টি কমবে সেই প্রহরায় দিন গুনছেন সকলেই ।