সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একজায়গায় বলেছেন যুদ্ধ কর অন্য জায়গায় তিনি বলেছেন সমস্ত কর্ম আমার পায়ে সমর্পণ করো এক্ষেত্রে ভক্তদের মনে দ্বিধা আসবে কী করনীয়? পরমেশ্বর ভগবান থেকে শুরু করে অবতারগণের বাণী শুনলে মাঝেমধ্যে আমরা সন্দিগ্ধ হয়ে পড়ি যে আসলে আমাদের কী করা উচিত? এক্ষেত্রে কী করনীয় তা বলে দিয়েছেন স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ।
একবার একজন ভক্ত প্রশ্ন করেছিলেন, মা বলেছেন, শ-ষ-স সহ্য কর। কিন্তু ঠাকুর বলেছেন ফোঁস করতে। এক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? এর উত্তরে স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ বলেছেন, “কথামৃত ও মায়ের কথা হলো শাস্ত্র। শাস্ত্র পড়লে প্রথমে জানা যায় কোনো উপদেশের শব্দার্থ (literal meaning)। পরে এই নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হয়। তাহলে ঐ উপদেশের মর্মার্থ (significance) বোঝা যায়। তৃতীয়ে এই মর্মার্থকে জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে দেখতে হয়।এই পদ্ধতিকে বলা হয়ঃ শ্রুতি (শাস্ত্র শোনা বা পড়া), যুক্তি (বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করা), অনুভব (কাজের মাধ্যমে আত্মস্থ করা)।
মা যে শ-ষ-স বলেছেন সেটা কাকে কী প্রসঙ্গে, এটা দেখুন। কারণ তিনি হরিশকে শাস্তি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ঠাকুরের “ফোঁস করা”– তিনিও জানতেন। খারাপ লোকের সামনে সহ্য না করে ফোঁস করতে হয়। এবার জগতের দিকে তাকিয়ে বিচার করুন। আপনার অনুভব মিলে যাবে ঠাকুর,ও মায়ের সাথে।”





