সূচনা গাঙ্গুলী,গুসকরাঃ- ইতিহাসের সেইসব চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করাটা হয়তো বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে তবে তাদের কর্ম পদ্ধতির সঙ্গে এই ব্যক্তির অনেকটা মিল পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট রাজারা নাকি নিয়মিত নিজ নিজ প্রজাদের খোঁজ নিতেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশে এই ব্যক্তি এলাকার বাসিন্দাদের নিয়মিত খোঁজ রাখেন।
জনপ্রিয়তায় রাজনৈতিক গুরু চঞ্চল গড়াইয়ের থেকে পেছিয়ে থাকলেও লো-প্রোফাইলে থাকা, আসলে থাকতে ভালবাসেন, গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী ইতিমধ্যেই নিজস্ব একটা ব্রাণ্ড তৈরি করে ফেলেছেন। পদ বা ক্ষমতা পাওয়ার পর যেখানে তৃণমূলের একশ্রেণির নেতা যখন সেটার অপব্যবহার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন চেয়ারম্যানের মত গুরু দায়িত্ব পালন করার পরেও নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতি নিজ কর্তব্য পালন করতে তিনি ভোলেননি।
চেয়ারম্যান হিসাবে তাকে প্রতিটি ওয়ার্ডের খবর রাখতে হয়। সেখানকার বাসিন্দাদের সুবিধা অসুবিধার দিকে নজর দিতে হয়। এরসাথে আছে প্রশাসনিক ও দলীয় সভা। তারপরেও প্রায় প্রতি রবিবার ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা তো বটেই একইসঙ্গে এলাকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। কি করে সেই সমস্যা দূর করা যায় সেই বিষয়ে ওয়ার্ডবাসীদের কাছ থেকে পরামর্শ চান।
গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারির দিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কয়েকজন দলীয় সাথীকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ড ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। যথারীতি বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনাও করেন।
সাতসকালে চেয়ারম্যানকে দেখে চমকে ওঠেন বাজারের চপ বিক্রেতা বুড়ো ময়রা। তিনি বললেন – জানি আমার পাড়ার ছেলে। তবুও চেয়ারম্যান বলে কথা। সে যখন দাঁড়িয়ে আমাদের খবরাখবর নেয় তখন ভাল তো লাগবেই। আমরা এমন এক চেয়ারম্যান চেয়েছিলাম। তাকে সমর্থন করে গৌরাঙ্গ, বিপদ প্রমুখরা। চেয়ারম্যানকে প্রায় প্রতি রবিবার কাছে পেয়ে প্রত্যেকেই খুশি।
কুশল বাবু বললেন – যাদের ভোটে আমি জয়লাভ করে চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হয়েছি তাদের পাশে থাকাটা আমার নৈতিক কর্তব্য। তাছাড়া ভূমিপুত্র হিসাবে চেয়ারম্যান হওয়ার আগেও বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত আমার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং এখনো হয়। সুতরাং আমার পক্ষে যতটা সম্ভব তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। তিনি আরও বললেন – শুধু আমি নই আমাদের প্রতিটি কাউন্সিলার নিয়মিত বাসিন্দাদের পাশে থাকেন। তাদের সুখদুঃখের খোঁজ নেয়। এরজন্য ক্যাপ্টেন হিসাবে আমি গর্বিত।